অসমের জোরহাটে ওএনজিসির জায়গায় ভয়াবহ আগুনে মৃত্যু হল এক ইঞ্জিনিয়ারের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জোরহাট জেলার বোরহোলায় ওএনজিসির (অয়েল অ্য্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন) 'গ্রুপ গেদারিং স্টেশনে' ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানেই কাজ করতেন রাহুল দত্ত নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আর কোনও হতাহতের খবর মেলেনি বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ওএনজিসির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি (মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত)।
দুপুরে আগুন, মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারের, জানাল পুলিশ
সূত্রের খবর, জোরহাটের যে 'গ্রুপ গেদারিং স্টেশন'-এ আগুন লেগেছিল, সেটার মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা হয়। তারপর প্রক্রিয়াজাত করা হয়ে থাকে। জোরহাটের পুলিশ সুপার শ্বেতাঙ্ক মিশ্র বলেছেন, 'দুপুরের দিকে আমরা (আগুন লাগার) খবর পাই। সেইমতো ঘটনাস্থলে পুলিশের দল পাঠানো হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ওএনজিসির হয়ে কাজ করা এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে।'
কীভাবে আগুন? এখনও মুখ খোলেনি ওএনজিসি
আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আর কেউ হতাহত হননি। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ঠিক কীভাবে আগুন লেগেছিল, সে বিষয়ে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আপাতত কিছু জানানো হয়নি ওএনজিসি কর্তৃপক্ষের তরফেও। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটাও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
অতীতেও ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে অসম
তবে অসমে এরকম কোনও জায়গায় এই প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল না। ২০২০ সালের জুনে তিনসুকিয়ার বাঘজানের গ্যাসকূপে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। যে কূপে আগুন লেগেছিল, তা ডিব্রু সাইখোয়া জাতীয় উদ্যান এবং মাগুরি মোট্টাপাং জলাভূমির কাছে অবস্থিত হওয়ায় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের উপরও প্রভাব পড়েছিল।
অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আগুনের লেলিহান শিখা ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যাচ্ছিল। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল কূপের আশপাশের গাছপালা, বাড়ি। পুড়ে গিয়েছিল জমি, খেত। শুধু তাই নয়, পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক সপ্তাহ লেগে গিয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে এসেছিল বিশেষজ্ঞ দল। এমনকী ৪৪ দিন পরে বিস্ফোরণ হয়েছিল বাঘজানে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের গ্যাসকূপে।