বিজেপির রাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় খাতা খুলতে পারবে না। তার ২৪ ঘন্টা কাটেনি ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে ত্রিপুরায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট ত্রিপুরা। বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ সালে। তাই ত্রিপুরা দখল করতে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের তুরুপের তাস কংগ্রেস থেকে আসা প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব।
রবিবার ত্রিপুরায় যান সুস্মিতা। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের প্রক্রিয়াও চলছে। সুস্মিতা দেবের ডাকে সেখানে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। এখানে বিজেপির বহু কর্মী–সমর্থক থেকে নেতা ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে হিড়িক ফেলে দিয়েছে। যা বিপ্লব দেবের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখানে কোনও বিধায়ক যোগ এখনও দেননি।
সূত্রের খবর, বিধায়করা যোগ দেবেন তৃণমূল ভবনে। এই রাজ্যে জমি তৈরি করতে বাঙালি ভোটকেই টার্গেট করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখানে কাজে লাগানো হচ্ছে বাঙালি মুখ সুস্মিতা দেবকে। কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে আমাদের ফুটবল খেলতে দিল না। কিন্তু আসল খেলা হলে দিশেহারা হয়ে যাবে। উত্তর–পূর্বে চমক দেখতে পাবেন সবাই।’
এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ সুস্মিতা দেবকে করতে চেয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই আবেদন জানিয়েছে সে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুস্মিতা উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিচিত মুখ হওয়ায় সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। আজ তাঁর হাত ধরেই সেই চমক দেখা গেল। কংগ্রেস শিবিরে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।
সুস্মিতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরপরই অসমে কংগ্রেস ছাড়ার হিড়িক পড়েছিল। ত্রিপুরাতেও সেই খেলা দেখাচ্ছেন তিনি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী সন্তোষ মোহন দেবের বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল ত্রিপুরা ও অসমে। তাঁরই কন্যা সুস্মিতা দেব। আজ তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যাপক যোগদানের কারণেই সুস্মিতাকে ত্রিপুরার মুখ করে এগোতে চায় ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।