কেরলের পলক্কড়ে এক স্থানীয় অনুষ্ঠানে একের পর এক হামাস নেতার পোস্টার হাতে নিয়ে হাতের মাথায় বসতে দেখা যায় অনেককে। পলক্কড়ের স্থানীয় ওই অনুষ্ঠানে হামাসের নেতাদের পোস্টার নিয়ে হাতিতে চড়ে দুই হাতে তাকে উপরে তুলে ধরতেও দেখা যায়। সদ্য ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। ঘটনা ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক চরমে উঠতেই বাম শাসিত কেরলের সিপিআইএম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।
কেরলের ওই অনুষ্ঠানে হামাসের নিহত নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, হেজবোল্লার নেতা হাসান নাসারাল্লার পোস্টার দেখা যায়। প্রসঙ্গত, গাজা যুদ্ধের সময় থেকে এই দুই নাম শিরোনাম কেড়েছে বহুবার। ইজরায়েলের বিরোধীপক্ষ হিসাবে হামাসের যেমন নাম রয়েছে, তেমনই হেজবোল্লার নামও উঠে এসেছে।
এদিকে, কেরলের তিরতলায় ‘তিরতলা’ নামের অনুষ্ঠান পঞ্চায়েতের তরফ থেকে প্রতি বছরই উদযাপন হয়। তার সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল রবিবার। সেখানেই ওই বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। কেরলের বিজেপি প্রেসিডেন্ট কে সুন্দরনের অভিযোগ, ‘এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য।’ তিনি বলেন,' এখন, পালাক্কাড়ে, একটি উৎসবে, হাজার হাজার হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের মহিমান্বিত করা হয় - ইসমাইল হানিয়াহ এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছবি হাতির উপর প্যারেড করা হয়েছিল, যেখানে একজন কমিউনিস্ট মন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন।' কেরলের বিজেপি প্রেসিডেন্টের প্রশ্ন,'কী বার্তা দিতে চাওয়া হচ্ছে? কেন ফের পিনারাই বিজয়ন চুপ? যদি শিরদাঁড়া থাকে, তাহলে অ্যাকশন নিন। যদি না থাকে, ইস্তফা দিন। মেনে নিন যে আপনি 'পরাজয়ান'।'
এদিকে, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দাবি, পোস্টারগুলি সেখানে দিয়েছিল অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কিছু গোষ্ঠী। ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এমবি রাজেশ, স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতি ঘিরেও বিতর্কের পারদ চড়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক ভিটি বলরাম। তিনি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন, মিডিয়ার একাংশ ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে তিরতলা থানার সীমানার মধ্যে। এখনো কোনও অভিযোগ না পাওয়ায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানান তারা।