কোভিড টেস্ট করে ট্রেনে উঠেছিলেন এক ব্যক্তি। মাঝ রাস্তায় খবর এল তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ। নিমেষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা ট্রেনের কামরায়। রবিবার এমন ঘটনার সাক্ষী রইল দেরাদুনগামী জন শতাব্দী এক্সপ্রেস। রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে সোমবার এই কথা জানানো হয়েছে।
ঋষিকেশের শ্যামপুরের নিবাসী প্রৌঢ় নয়ডায় চাকরি করেন। রবিবার দুপুর গাজিয়াবাদ থেকে ট্রেনে ওঠেন তিনি। এরপর আচমকা তাঁর কাছে ফোন আসে যে নয়ডায় তিনি যে লালারসের পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেটা পজিটিভ এসেছ। তখনই তিনি কোভিড হেল্পলাইনে ফোন করে এই কথা জানান।
কিন্তু তাঁর কথা শোনার পর আতঙ্ক ছড়ায় সহযাত্রীদের মধ্যে। কেন একজন সম্ভাব্য কোভিড রোগীকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হল, সেই প্রশ্নও করেন তারা। ভয় পেয়ে গিয়ে যতটা সম্ভব করোনা রোগীর থেকে দূরে গিয়ে বসেন সহযাত্রীরা।
হরিদ্বারের গভর্নমেন্ট রেল পুলিশের স্টেশন হাউজ অফিসার অনুজ সিং বলেন যে গাজিয়াবাদে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে কী করে এই ব্যক্তি যাত্রা করল যেখানে তাঁর কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ছিল।
ব্যাটারির এক কারাখানায় কাজ করেন তিনি। সেখানেই তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। সংস্থার কর্তারা ও স্থানীয় প্রশাসন কেন তাঁকে যেতে দিলেন, সেই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে। মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন যে করোনা আক্রান্ত ভদ্রলোককে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কোচের বাকি যাত্রীদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, খবর পেয়েই রেল পুলিশ জানায় স্বাস্থ্য দফতরকে। তখনই রেলওয়ে স্টেশনে একটি টিম পাঠানো গয়। কোচে উপস্থিত অন্য ২২জন হরিদ্বারে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।