অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠল মরিশাস দ্বীপের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জুগনাথের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে মরিশাস পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী কবিতা জুগনাথকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ,অফিস সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর তারপরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশের আর্থিক অপরাধ কমিশন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির জেরার মুখে তামান্না! কী অভিযোগ নায়িকার বিরুদ্ধে?
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুগনাথকে গ্রেফতারের পর তাঁকে মরিশাসের মোকা জেলে রাখা হয়েছে। মরিশাস পুলিশ জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সহ বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দারা তল্লাশি চালিয়ে ২৪ লক্ষ ডলার উদ্ধার করে। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জুগনাথের আইনজীবী রউফ গুলবুল রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে তাঁর মক্কেল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর সপক্ষে বক্তব্য আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, একটি সংস্থায় কর্মরত আর এক সন্দেহভাজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখানে জুগনাথের নামে থাকা বেশ কিছু এবং বিলাসবহুল ঘড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে মরিশাসের নতুন প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম পূর্ববর্তী সরকারের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ তোলেন। তারপরেই এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ পুলিশের। এর আগে দেশটির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরকে জালিয়াতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত মাসে আটক করেছিল পুলিশ। যদিও তিনি পরে জামিনে মুক্তি পান। জানা যাচ্ছে, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রবিন্দ জুগনাথ। ১৯৬৮ সালে দ্বীপরাষ্ট্রটি ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি । প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হলেন রাজবংশের সদস্য। চাগোস দ্বীপপুঞ্জের উপর সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তির তত্ত্বাবধান করেন তিনি। নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি এবং তাঁর সোশ্যালিস্ট মুভমেন্ট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। তিনি বাম প্রতিদ্বন্দ্বী নবীন রামগুলামের কাছে হেরে যান এবং পদত্যাগ করেন। রমগুলাম তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।