শিশির গুপ্ত
মরিশসাসের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সংস্থায় টানা ৭ বছর ধরে তিনি ছিলেন সিইও পদে। তিনি শেরি সিং। সদ্য তাঁর সংস্থা থেকে ইস্তফার ঘটনা নানান জল্পনা তৈরি করেছে। চিনা প্রযুক্তি সংস্থা হুওয়াএয়ের সঙ্গে শেরি সিংয়ের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তার দিক থেকেও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। শেরি সিং ও তাঁর চিনা যোগ আপাতত ভারতের গোয়েন্দাদর লেন্সে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মরিশসাসে এক ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সফর সম্পর্কে গোপন তথ্য দুটি ভিন্ন সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছিলেন শেরি সিং। যে ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে খোদ মরিশসাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগনথ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শেরি সিংয়ের দাবি, প্রবিন্দ জগনথ তাঁকে জোর করে একটি 'স্নিফিং ডিভাইস' এর অ্যাকসেস ভারতীয় দলের কাছে পৌঁছে দিতে বাধ্য করেন। শেরি সিংয়ের দাবি নিয়ে বহু প্রশ্ন করা হয়েছে। উঠেছে নানান আলোচনা। এদিকে, বিষয়টি ভালভাবে নেননি মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই ইস্যুতে সেদেশের তাঁর বিরোধীদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। প্রশ্ন তোলেন দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে। জানা যায়, তিনি দ্বীপরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একটি সমীক্ষার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন একটি দল পাঠানোর। সেই নিরিখেই ওই প্রতিনিধি দল সেখানে যায়।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, 'মরিশাসে আমাদের সেভাবে টেকনিশিয়ান দল নেই সমীক্ষা করার জন্য। আর আমরা তা করলে এই ভারতীয় টেকনিশিয়ান দলের ওপরেই নিরহর করব।'এদিকে ভারতের তরফে বিদেশমন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচি বলেছেন, জগনেথের মন্তব্যই ভারতের দিক থেকে সবচেয়ে বড় বিষয়। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অন্যদিক নিয়ে। যতদিন মরিশাসের টেলিকমিউনকেশনের প্রধান ছিলেন শেরি সিং, তসেই আমলে চিনা সংস্থা হুওয়াওয়ের অনুমোদন পাওয়ার ঘটনা অনেককেই অবাক করে। কিছু চুক্তি বণ্টনের ক্ষেত্রেও হুয়াওয়েকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার ঘটনা থেকে শেরি সিংয়ের সঙ্গে চিনা সরকারের যোগ নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই মরিশাসের নিরাপত্তা বিষয়ক দফতর শোরি সিংকে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনারও অভিযোগ রয়েছে।