আসন্ন নির্বাচনে নিজের গড় গোরক্ষপুর থেকেই ল়তে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যাথ। গোরক্ষনাথের মঠের অধ্যক্ষ ১৯৯৮ সালথেকে টানা পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে এই তাঁর অভিষেক। এহেন যোগী এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন গোরক্ষনাথ মঠকে আক্রমণ শানিয়ে দলিতদের ফএর একবার নিজের দিকে টানার চেষ্টা শুরু করলেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। মায়াবতী অভিযোগ করলেন, যেই মঠে যোগী নিজের বেশিরভাগ সময় কাটান, সেটি প্রাসাদের থেকে কম কিছু নয়।
এক টুইট বার্তায় যোগীকে খোঁচা দিয়ে মায়াবতী লেখেন, ‘সম্ভবত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের লোকেরা জানেন না যে গোরক্ষপুরে যে মঠে যোগীজি প্রায়শই সময় কাটান, সেটা একটি বিশাল বিলাসবহুল প্রাসাদ। মুখ্যমন্ত্রী এটা প্রকাশ করলে ভালো হয়।’
মায়াবতী আরও বলেন যে আদিত্যনাথের উচিত ছিল জনকল্যাণের স্বার্থে আনা বিএসপি সরকারের পরিকল্পনাগুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরা। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘তারা জানে যে দরিদ্রদের বাড়ি এবং ভূমিহীনদের জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএসপির রেকর্ড দুর্দান্ত। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম আমরা মাত্র দুই ধাপে শ্রী কাংশী রামজি শাহারি গরিব আবাস যোজনার অধীনে ১.৫ লক্ষেরও বেশি স্থায়ী বাড়ি দিয়েছিলাম। সর্বজন হিতয় গরীব আবাস প্রকল্পের অধঈনে বিপুল সংখ্যক পরিবার উপকৃত হয়েছে। এছাড়াও, অনেক ভূমিহীন পরিবারকে জমি দেওয়া হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, গাজীপুরে এসে এক নির্বাচনী সভায় যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন যে তাঁর সরকার গত পাঁচবছরে ৪৩ লক্ষ সাধারণ মানুষকে মাথার উপর ছাদ দিয়েছে। যোগীর এই দাবির প্রেক্ষিতেই পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন মায়াবতী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মায়াবতীর ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছিলেন যে হয়ত বিজেপির চাপেই চুপ আছেন মায়াবতী। কংগ্রেস নেত্রীর এহেন ‘খোঁচা’র পরই যোগীর মঠের আকার আয়তন তুলে ধরে আক্রমণ শানালেন।