এলএন রাও
দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনে ২৫০জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলরের মধ্যে অন্তত ৬৭ শতাংশই ক্রোড়পতি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মের রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে ২৭০টি আসনে ভোট হয়েছিল দিল্লিতে। ২৬৬জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫১ শতাংশকেই ক্রোড়পতি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে আসন পুনর্বিন্য়াসের জেরে এমসিডির আসন কমে দাঁড়ায় ২৫০। এবার এই নির্বাচনে বিজেপির জয়যাত্রা থামিয়ে দিয়েছে আপ। কংগ্রেস এখানে মাত্র ৯টি আসনে জয় পেয়েছে। তিনটি আসনে জয় পেয়েছে নির্দল প্রার্থী।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪৮জন জয়ী কাউন্সিলরের মধ্যে ১৬৭জন ক্রোড়পতি। অর্থাৎ ৬৭ শতাংশই ক্রোড়পতি। ২০১৭ সালে এমসিডি নির্বাচনে ২৬৬জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩৫জনই ছিলেন ক্রোড়পতি। অর্থাৎ ৫১শতাংশই ছিলেন ক্রোড়পতি।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮২জন কাউন্সিলর যারা তাদের সম্পদের পরিমাণ ঘোষণা করেছেন এক কোটির উপরে। তাঁরা সকলেই বিজেপির। এই সংখ্যা অন্যান্য দলের তুলনায় সর্বোচ্চ।
আপের ৭৭জন কাউন্সিরও নিজেদের ক্রোড়পতি বলে ঘোষণা করেছেন হলফনামায়।
রিপোর্টে দল ভিত্তিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে বিজেপির ১০৪জনের মধ্যে ৮২জন, আপের ১৩২জনের মধ্যে ৭৭জন, কংগ্রেসের ৯জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬জন, তিনজন নির্দল কাউন্সিলরের মধ্যে ২জন ক্রোড়পতি।
Association for Democratic Reforms, Delhi Election watch ২৫০জনের মধ্যে ২৪৮জনের হলফনামা খতিয়ে দেখা হয়েছে। দুজনের হলফনামায় সম্পত্তি সংক্রান্ত হিসাবে কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে।
দেখা যাচ্ছে ১০৪জন বিজেপি কাউন্সিলরের সম্পদের গড় পরিমাণ ৫.২৯ কোটি। ১৩২জন আপ কাউন্সিলরের সম্পদের গড় পরিমাণ ৩.৫৬ কোটি। ৯জন কংগ্রেস প্রার্থীর গড় সম্পদের পরিমাণ ৪.০৯ কোটি। নির্দলদের জয়ী প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ গড়়ে ৫.৫৩ কোটি।