বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিল বাংলাদেশ সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অশান্ত পরিবেশের জেরে সেখানে অনেক ভারতীয় আটকে পড়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন মমতা। এই নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, 'আমরা অবাক হয়েছি ওঁর মন্তব্যে। এক জন মুখ্যমন্ত্রীর তো কথার ওজন থাকবে! তা ছাড়া এখানে যাঁরা পড়তে বা কোনও কাজে এসেছেন, সেই ভারতীয়রা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, এমন কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।' (আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা, গর্জে উঠলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা)
আরও পড়ুন: '...গুজরাট ২০০২-এর মোদীকে ফেরত চাই', বাংলাদেশ নিয়ে এ কী বললেন তথাগত?
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশ ভেঙে পৃথক হিন্দুদেশ...', 'ফর্মুলা' বাতলে দিলেন প্রাক্তন সেনা কর্তা!
এর আগে বাংলাদেশের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল মমতর মন্তব্য নিয়ে বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের নিন্দা জানাই। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর যা ঘটে, বরং তার জন্য ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।' এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার রেশ ধরে ভারতকে আক্রমণ শানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, 'যদি ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (বাংলাদেশের) হাই-কমিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর থেকে সহায়তা চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা মিশনে বাড়তি বাহিনী পাঠিয়ে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা করতে পারে।' এদিকে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনের বক্তব্য হিসাবেই দেখতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন বক্তব্য দিলেন আমরা জানি না। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি তাঁর রাজনীতির জন্য বিষয়টি ঠিক নয়। পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে আমরা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চাই।' (আরও পড়ুন: 'ইউনুসের চামড়া, গুটিয়ে দেব...', বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের ডাক শিলিগুড়িতে)
আরও পড়ুন: হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ে!
এর আগে বাংলাদেশ নিয়ে মমতা বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা যেন রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১০ দিন হয়ে গেল। কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ করে আছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল প্রতিদিন মিছিল করছে। মিছিল করার অধিকার আছে। সীমান্ত আটকে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে সীমান্তের বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। আর রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই চলবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে যে ভারতীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের এই রাজ্যে ঠাঁই দিতে তৈরি আছি আমরা। তাঁদের খাদ্যের কোনও অসুবিধা হবে না।'