ভারতীয় মশলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কিছু পণ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বিশ্বের নানান প্রান্তে। এই আবহে এই দুই নামী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে সরকার। জানা গিয়েছে, এই দুই সংস্থার কারখানায় ইতিমধ্যেই ইন্সপেকশন চলছে। সঙ্গে পরিস্থিতি শুধরে ফেলার জন্যে পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে এই দুই সংস্থাকে। এরই মাঝে ভারতের স্পাইস বোর্ড নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে রফতানি হতে চলা সব মশলার কনসাইনমেন্টের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। মশলা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে স্পাইস বোর্ড ইতিমধ্যেই তিন দফায় আলোচনাতেও বসেছে বলে জানা গিয়েছে। এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মতো মশলা রফতানিকারক সংস্থাগুলির জন্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্পাইস বোর্ড। (আরও পড়ুন: রাজ্যে ষষ্ঠ পে কমিশনের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, বড় দাবি শাসকদলের শীর্ষ নেতার)
আরও পড়ুন: কয়লা দুর্নীতিতে নাম জড়াল আদানির, কংগ্রেস বলল - 'ক্ষমতায় এলে তদন্ত হবে'
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, মাত্রাতিরিক্ত পেস্টিসাইড থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্যের বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপরই ভারত সরকারের তরফ থেকে এই দুই সংস্থার কারখানায় পরিদর্শনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ঋণে পাওয়া ছাড়ের ওপর কি আয়কর দিতে হবে ব্যাঙ্ক কর্মীদের? বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের)
আরও পড়ুন: লিভ এনক্যাশমেন্ট নিয়ে বড় রায় আদালতের, চাকরিজীবীদের মুখে ফুটবে হাসি?
ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মশলা বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের যে দ্রব্য আছে, সেগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষার নিয়ম চালু করা হচ্ছে। যে রফতানিকারকদের অর্ডার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে মশলা বোর্ড। মূল কারণ খুঁজে বের করতে এবং কোনও ভুল হয়ে থাকলে তা শুধরে নেওয়ার জন্য মশলা বোর্ডের তরফে পরামর্শও দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে রফতানির জন্য যে যে কারখানা ব্যবহৃত হয়, সেখানেও পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্যে যে পরিমাণ 'ইথিলিন অক্সাইড' পাওয়া গিয়েছে, তা নির্ধারিত সীমার থেকে অনেক বেশি। ওই পেস্টিসাইডের ফলে ক্যানসারও হতে পারে। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সিঙ্গাপুর এবং হংকং। এদিকে মলদ্বীপও সেই তালিকায় নবতম সংযোজন। (আরও পড়ুন: বাকি ২ দফার ভোট, এরই মাঝে BJP-র সম্ভাব্য আসন সংখ্যা জানালেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ)
আরও পড়ুন: ইউরোপের ধাঁচে আমূল বদলে যাবে কলকাতার মেট্রো ব্যবস্থা, জানলে হতবাক হবেন যাত্রীরা
এদিকে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য নিষিদ্ধ হওয়ার পরই এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গত ছয় মাসে সালমোনেলা দূষণের কারণে মহাশিয়ান ডি হাট্টি (এমডিএইচ) প্রাইভেট লিমিটেড রফতানি করা পণ্যের ৩১ শতাংশ প্রত্যাখ্যান করেছে আমেরিকা। তার আগে গতবছর আমেরিকায় এমডিএইচের পণ্য প্রত্যাখানের হার ছিল ১৫ শতাংশ। তবে গত কয়েক মাসে সেই প্রত্যাখ্যানের হার এক লাফে ১৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।