এমডিএইচ ও এভারেস্টের কিছু মশলা পরীক্ষা করে তা খাওয়ার জন্য 'নিরাপদ নয়' বলে জানিয়েছে রাজস্থান সরকার। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছে রাজস্থান সরকার। রাজস্থানের শীর্ষ স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রা সিংয়ের লেখা সেই চিঠি অনুসারে, রাজ্য অনেক মশলার নমুনা পরীক্ষা করে এভারেস্টের মশলার মিশ্রণের একটি ব্যাচ এবং এমডিএইচের দুটি ব্যাচ 'নিরাপদ নয়' বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই মশলার ব্যাচগুলি গুজরাট এবং হরিয়ানা থেকে উৎপাদন করা হয়েছিল। এই আবহে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে দ্রুত অবগত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজস্থানের স্বাস্থ্য আধিকারিক। (আরও পড়ুন: আর ৪% নয়, এবারে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ১০ শতাংশ, জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর, GPF-এ সুদের হার নিয়ে করা হল নয়া ঘোষণা
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতীয় মশলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কিছু পণ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল বিশ্বের নানান প্রান্তে। এই আবহে এই দুই নামী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে সরকার। জানা গিয়েছে, এই দুই সংস্থার কারখানায় ইতিমধ্যেই ইন্সপেকশন চলেছে। সঙ্গে পরিস্থিতি শুধরে ফেলার জন্যে পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে এই দুই সংস্থাকে। এরই মাঝে গত মে মাসে ভারতের স্পাইস বোর্ড নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে রফতানি হতে চলা সব মশলার কনসাইনমেন্টের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মশলা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে স্পাইস বোর্ড ইতিমধ্যেই তিন দফায় আলোচনাতেও বসেছে বলে জানা গিয়েছে। এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মতো মশলা রফতানিকারক সংস্থাগুলির জন্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্পাইস বোর্ড। (আরও পড়ুন: এবার ১০ দিন ধরে চলবে কাজ, বাতিল ১৬৬ লোকাল, ৬৪ এক্সপ্রেস ট্রেন, কবে থেকে দুর্ভোগ?)
আরও পড়ুন: কলকাতার নর্থ-সাউথ মেট্রো লাইনে আসছে বদল, বিবৃতি জারি করে জানাল কর্তৃপক্ষ
উল্লেখ্য, মাত্রাতিরিক্ত পেস্টিসাইড থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্যের বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপরই ভারত সরকারের তরফ থেকে এই দুই সংস্থার কারখানায় পরিদর্শনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্যে যে পরিমাণ 'ইথিলিন অক্সাইড' পাওয়া গিয়েছে, তা নির্ধারিত সীমার থেকে অনেক বেশি। ওই পেস্টিসাইডের ফলে ক্যানসারও হতে পারে। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কয়েকটি দ্রব্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সিঙ্গাপুর এবং হংকং। এদিকে মলদ্বীপও সেই তালিকায় নবতম সংযোজন। এদিকে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য নিষিদ্ধ হওয়ার পরই এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই সবের মাঝে এবার দেশেই এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মশলার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠল।