মুম্বইয়ের একটি নামী কলেজে ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে এমবিবিএস ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন এক ছাত্রী। তিনি সাধারণ শ্রেণিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এবং যেহেতু ওই ছাত্রী পুরো কোর্স শেষ করেছিলেন, তাই তাঁর ডিগ্রি বাতিল করল না বম্বে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ এস চান্দুরকর এবং জিতেন্দ্র জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘আমাদের দেশে, যেখানে জনসংখ্যা ও চিকিৎসকের অনুপাত খুব কম, সেখানে তাঁর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তা কেড়ে নেওয়ায় জাতীয় ক্ষতি হবে। নাগরিকরা একজন চিকিৎসকের পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।’
আরও পড়ুন। ফ্রি বলে জমা পড়ছে হাজার-হাজার আবেদন, ঝরছে ঘাম, বিধিনিষেধ চাইছে কলেজগুলি
আদালত বলে, ‘চিকিৎসক পেশা যদি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে মহান পেশার জন্য কলঙ্ক হবে।’ একথা জানিয়ে হাইকোর্ট আরও বলে, এই ভাবে সত্যকে চাপা দিয়ে কোনও শিক্ষার্থীর ভিত গড়া উচিত নয়।’ কিন্তু হাইকোর্ট ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়।
২০১৩ সালে লুবনা মুজাওয়ার নামে ওই ছাত্রীর ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে মুম্বই শহরতলীর কালেক্টর। তা ন্যায়সঙ্গত বলে মন্তব্যে করেছে আদালত।
আরও পড়ুন। চাকরি দেবে সিবিএসই! প্রকাশিত হল পরীক্ষার সময়সূচী, বিস্তারিত চেক করুন এখানে
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিওনের লোকমান্য তিলক মেডিক্যাল কলেজ তাঁর এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি বাতিল করে দেয়। কিন্তু হাইকোর্ট বলেছে, সময় পেরিয়ে যাওয়ার কারণে এবং অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ভিত্তিতে তাঁকে পড়াশোনার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ওই ছাত্রীটি তাঁর কোর্স শেষ করেছে, তাই তাকে এখন ডিগ্রি প্রদান করা উচিত বলে নির্দেশ দেয় আদালত।
হাইকোর্ট বলে, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে লাগু হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ভিত্তিতে আবেদনকারী এমবিবিএস কোর্স শেষ করেছেন এবং তাই আবেদনকারী চিকিৎসক হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই আবেদনকারীর প্রাপ্ত যোগ্যতা এখন আর প্রত্যাহার করা ঠিক হবে না।
হাইকোর্ট বলেছে, ছাত্রীটি তাঁর বাবার উপর ভিত্তি করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভর্তি হয়েছিল। মা যে পুরসভায় কাজ করেন তাও প্রকাশ করেননি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে ‘ওপেন ক্যাটাগরির’ পড়ুয়াদের ফি মিটিয়ে দিতে হবে এবং কলেজকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
২০১২ সালে, সংরক্ষিত আসনে সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে এমবিবিএস কোর্সে ওবিসি ভর্তির তদন্তের দাবিতে একটি আবেদনের ভিত্তিতে সমস্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। সেই সময় ছাত্রী বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন। সাগ্নিকের গল্পটা আলাদা! বাঁ চোখে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি নিয়েই মাধ্যমিকে সে নজরকাড়া