৫ মে থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে পূর্ব লাদাখে যে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তারই কি অবশেষে জট খুলবে। দুই পরমাণু বোমা শক্তিধারী রাষ্ট্রের সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়ায়, সেটা দেখতে উন্মুখ শুধু দুই দেশ নয়, গোটা বিশ্বের জনতা। শুক্রবার সুদূর মস্কোর মেট্রোপোল হোটেলে ভারতীয় সময় সাড়ে নটার একটু পরে শুরু হল ভারত-চিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক। দুই ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে চলল এই বৈঠক।
চিনের আর্জিতে সাড়া দিয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং। চিনের তরফে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ফেংঘে। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছবি পোস্ট করেন দুই দেশের মধ্যের বৈঠকের। সাধারণত এই সব ছবি যেমন থাকে তার থেকে একটু হলেও আলাদা ছিল এই গ্রুপ ফটো। ঘরের পরিস্থিতি দৃশ্যতই থমথমে, তার মধ্যেই হাত উঁচিয়ে কিছু একটা বলছেন রাজনাথ সিং, ছবিতে দেখা যায়। এরপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এদিনের বৈঠকের বিভিন্ন ছবি। প্রতিটাতেই বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে মনে হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। রাজনাথের সরকারি হ্যান্ডেল থেকে পরে জানান হয় যে ১৪০ মিনিট ধরে বৈঠক চলেছে। যদিও আলোচনার গতিপ্রকৃতির কথা বলা হয়নি।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই প্রথম দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে বৈঠক হল এদিন। গত দশ দিনে অবশ্য পরিস্থিতি বেশ কিছুটা বদলেছে। চিনের হানার থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য নিজেদের অবস্থান বদলেছে ভারত। সুরক্ষিত করেছে প্যাংগং সো-এর উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল। এতদিন দুই দেশের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে তাতে তেমন কোনও কাজের কাজ হয়নি। এপ্রিলের অবস্থানে ফিরে যেতে রাজি হয়নি চিন।
এদিনই বিদেশসচিব হর্ষ শ্রীংলা বলেন যে ১৯৬২-র পর চিন সীমান্তে এমন সমস্যা তৈরী হয়নি। চিন যে বিপুল সংখ্যক সৈন্য সেখানে জড়ো করেছে সেই কথাও জানান তিনি। বিদেশসচিব বলেন যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সীমান্ত সমস্যা প্রভাব ফেলতে বাধ্য। অন্যদিকে সেনা প্রধান নরবর্ণে জানিয়েছেন সীমান্তের অবস্থা খুব সংবেদনশীল। সেখানে যে কিছুটা অস্থিরতা আছে তা মেনে নিয়েছেন তিনি।