প্রেমের সম্পর্কে থাকা দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণ, তরুণী যদি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তবে তা পকসো আইনের আওতায় বিচারাধীন হবে না। গত সপ্তাহে এক মামলার শুনানির সময় এমনই পর্যবেক্ষণ করল মেঘালয় হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, ১৬ বছর বয়সি এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এক যুবক। সেই ঘটনায় যুবতীর বাবা পকসো আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেন নিজের মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। সেই মামলার আবেদন খারিজ করে দিল মেঘাল হাই কোর্ট।
আবেদন শোনার পর হাই কোর্টের বিচারপতি ডাব্লু ডিয়েংডোহ বলেন, ‘অভিযুক্ত ভুক্তভোগী মেয়েটি স্পষ্টভাবে বলেছে যে এটা যৌন নিপীড়নের ঘটনা নয়। প্রেমের উপর ভিত্তি করা কোনও সম্পর্কে যগি উভয় পক্ষের সম্মতিতে যৌন সঙ্গম ঘটে তাহলেও এই ধরনের ঘটনাকে যৌন হেনস্থা হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।’ এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে তরুণীর বিয়েও হয়ে গিয়েছে। তরুণীর ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর পরিবারকে সাক্ষী রেখে দুই জনে বিয়ে করে নিয়েছে। এই আবহে অভিযোগকারী ব্যক্তি (মেয়ের বাবা) এই মামলা নিয়ে এগোতে ইচ্ছুক ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে এই ধরনের এক মামলার ক্ষেত্রে মাদ্রাস হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছিল, ‘একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে কোনও কিশোরের প্রেমের সম্পর্ক থাকলে সেই ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার জন্য পকসো আইন আনা হয়নি। বয়ঃসন্ধিকালীন কোনও ছেলে বা মেয়ের নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পুরোপুরি বিকশিত হয় না। এই ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই তাদের পিতামাতার নির্দেশ শোনা উচিত। তবে এই ঘটনাগুলি (অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রেম) কখনই একজন প্রাপ্তবয়স্কের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। এই ধরনের কোনও মামলায় যদি কোনও কিশোরকে জেলে পাঠানো হয় তাহলে সে সারা জীবন নির্যাতিত হবে।’