বিয়ের আগে জা কেট মিডলটনের কারণে কষ্টে ও কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন যুবরাজ হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কল। স্বামীর সঙ্গে সিবিএস চ্যানেলে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় মার্কিন সঞ্চালক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন, ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ মেগান মার্কল।
ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান একটি সংবাদপত্রের দাবি নস্যাৎ করেন। সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, ডাচেস অফ কেমব্রিজ কেট মিডলটন তাঁদের (মেগান ও হ্যারির) বিয়ের আগে কেঁদেছিলেন এবং এখান থেকেই মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের মোড় ঘুরে যায়। মেগান বলেন, ‘এটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল।’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি কি কেটকে কাঁদিয়েছিলেন? প্রত্যুত্তরে মেগান বলেন, ‘ঠিক এর উলটোটি হয়েছিল।’ বলেন, ‘বিয়ের কয়েকদিন আগে তিনি (কেট) কোনও কারণে হতাশায় ছিলেন। ফ্লাওয়ার গার্লদের পোশাক সংক্রান্ত কোনও বিষয় ছিল এবং এটিই আমাকে কাঁদিয়ে ছিল। বিষয়টি আমার অনুভূতিতে আঘাত হেনে ছিল।’
ডাচেস অফ সাসেক্স আরও বলেন যে, ‘আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব ছিল না এবং… আমার মনে হয় সেই ব্যাপারটি নিয়ে বিশদে যাওয়া উচিত হয়নি, কারণ তিনি (কেট) আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং আমি তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। তবে আমি কোনও মতেই ভুলতে পারছি না, যে কাজের জন্য আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে, তা আমি করিনি, বরং সেটি আমার সঙ্গেই ঘটেছে।’ মেগান বলেন, ‘আমি বলব যে, আমি সারল্যের সঙ্গে রাজ পরিবারে প্রবেশ করেছি। কারণ রাজ পরিবারের বিষয় খুব একটা ধারণা আমার ছিল না।’
এই সাক্ষাৎকারেই মেগান নিজের ও যুবরাজ হ্যারির গোপন বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। জানান যে, তিনি ও হ্যারি আনুষ্ঠানিক বিবাহের তিন দিন আগে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ মে ব্রিটেনের উইন্ডসোর ক্যাসেলে ক্যান্টারবেরির আর্চ বিশপ জাস্টিন ওলেসবির সামনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার রীতি পালনের আগেই তাঁরা প্রতিশ্রুতি বিনিময় করেছিলেন। 'কেউ জানে না। কিন্তু আমরা আর্চবিশপকে ডাকি এবং বলি, ‘দেখুন, এ সমস্ত কিছুই পৃথিবীর জন্য।' এই ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে কোনও মূল্য দেওয়া হয়নি বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন যুবরাজ হ্যারির ঘরণী।