ট্রেনে উঠে প্রচন্ড জলতেষ্টা পেয়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনে যাচ্ছেন। ভাবছেন কী করবেন? স্টেশনের জল কতটা নিরাপদ হবে? এবার সেসব থেকে মুক্তি। এবার তার সমাধান করছে রেল দফতর। মূলত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাতাসকে ঘনীভূত করে সেখান থেকে জল তৈরা করা হবে। আর সেই জলই তেষ্টা মেটাবে রেলযাত্রীদের।
আপাতত মুম্বই শাখায় ৬টি রেলস্টেশনে এই পানীয় জল পাওয়া যাবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে মুম্বই শাখার ৬টি স্টেশনে ১৭টি এই ধরনের জলপ্রকল্প চালু করা হবে। মৈত্রী অ্যাকোয়াটেক প্রাইভেট লিমিটেড এই কাজের বরাত পেয়েছে। রেল স্টেশনগুলিতে জল পাওয়ার কিয়স্ক থাকবে। আর কিয়স্কের জন্য রেলকে প্রতি বছর ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে লাইসেন্স ফি দিতে হবে।
তবে এই জল একেবারে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকছে। ১ লিটার জলের বোতলের দাম পড়বে ১২টাকা। ৩০০ মিলি জলের বোতলের দাম ৫টাকা।
এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে জল তৈরির প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে মেঘদূত। মাটির তলা থেকে নয়, বাতাস থেকে বাস্পকে ঘনীভূত করে তৈরি হবে জল। কিন্তু ভাবছেন এই জলপান কতটা নিরাপদ হবে? সূত্রের খবর রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই এই জলকে পুরোমাত্রায় ছাড়পত্র দিয়েছে।
সূত্রের খবর, একটি জেনারেটর এক ঘণ্টায় ১ হাজার লিটার জল তৈরি করতে পারবে। জলীয় বাস্প থেকেই তৈরি হবে এই বিশুদ্ধ জল। ভূগর্ভস্থ জলের আর কোনও ব্যাপারই নেই। সরাসরি জলীয় বাস্প থেকে তৈরি হবে স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় জল। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, দাররে ৫টি করে, কুর্লায়, ঘাটকোপাড় ও ভিকরোলিতে ১টি করে ও থানেতে৪টি কিয়স্ক বসানো হবে।