পদ্মা সেতু নিয়ে গর্বের অন্ত নেই বাংলাদেশে। কার্যত গোটা বিশ্বের কাছে পদ্মা সেতু যেন বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পদ্মা সেতুর পরে এবার মেঘনার উপর নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
এদিকে পদ্মা সেতু তৈরিতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এবার মেঘনা সেতু বাস্তবায়নের পরিকল্পনা শুরু করল বাংলাদেশ সরকার। তবে সেই ২০২০ সাল থেকেই মেঘনা নদীর উপর সেতু তৈরির ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। পরে মন্ত্রিসভাতেও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরই মেঘনা সেতুকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
কেন মেঘনা নদীতে সেতু তৈরির উদ্যোগ?
সূত্রের খবর, মেঘনা নদীতে আগে থেকেই দুটি সেতু রয়েছে। কিন্তু যাতায়াতের সুবিধার জন্য তৃতীয় সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর জেরে ঢাকার সঙ্গে পাশাপাশি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও নিবিড় হবে।
কবে এই সেতু নিয়ে চুক্তি হতে পারে?
আগামী মে মাসে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মেঘনা সেতু তৈরি নিয়ে চুক্তি হতে পারে।
ঠিক কোথায় তৈরি হবে এই সেতু?
মেঘনার এই তৃতীয় সেতুটি ভুলতা-আড়াই হাজার বাঞ্চারামপুর সড়কের ফেরিঘাটের ১০০ মিটার স্রোতের বিপরীতে তৈরি করা হবে এই সেতু।
কতটা লম্বা হবে এই সেতু?
এই সেতুটির দৈর্ঘ্য়ে হবে ৩.১৩ কিমি। সেতুর দুদিকে প্রায় ৪.৪ কিমি সড়কপথ নির্মাণ করা হবে বলে খবর।
এই সেতুটি হলে সুবিধাটা ঠিক কী হবে?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে,ঢাকা চট্টগ্রাম, ঢাকা সিলেট সড়কের বিকল্প যোগাযোগ হিসাবে গড়ে উঠবে মেঘনার এই তৃতীয় সেতু।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে শুধু পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বিপুল সুবিধা হয়েছে। এবার মেঘনা সেতুর হাত ধরে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে পণ্য আশুগঞ্জ হয়ে স্থলবন্দর যেতে যে সময় লাগে, বাঞ্চারামপুরে মেঘনা নদীর উপর স্থলবন্দর তৈরি হলে চার ঘণ্টা সময় কমে যাবে। এতে বাণিজ্য়ে আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও খরচ, সময়, ঝামেলা সবগুলোই কমবে।