অ্যান্টিগা ফিরেই ভারতের বিরুদ্ধে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তুললেন মেহুল চোকসি। দাবি করলেন, তিনি যে ‘অত্যাচারের’ মুখে পড়েছেন, তাতে তাঁর মন এবং শরীরে চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়েছে।
৫১ দিন ডমিনিকার হেফাজতে থাকার পর বুধবার ব্যক্তিগত উড়ানে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় পৌঁছান পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। যিনি ২০১৮ সাল থেকে সেই দেশের নাগরিক। স্বাস্থ্যজনিত কারণে গত সোমবার চোকসির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল ডমিনিকার আদালত। অ্যান্টিগার এক নিউরোলজিস্টের কাছে ‘চিকিৎসা’ করবেন। তারইমধ্যে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ে দাবি করেছেন, গত কয়েকদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ‘এখনও পর্যন্ত’ ভারতে ফেরার কথা ভাবলেও তাঁর ‘শারীরিক অবস্থা’ অত্যন্ত খারাপ'।
চোকসি বলেন, ‘নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য এখনও পর্যন্ত আমি ভারতে ফেরার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছিলাম। কিন্তু আমার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আমায় অপহরণের পর গত ৫০ দিন শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি হয়েছে। ভারতে নিজের সুরক্ষা নিয়ে আমার যথেষ্ট উদ্বেগ আছে। আমি আবার স্বাভাবিক শারীরিক বা মানসিক অবস্থায় ফিরতে পারব কিনা, জানি না।’
এমনিতে ডমিনিকার আদালতের তরফে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতদিন তাঁকে ফিট বলে ঘোষণা করা হবে না, ততদিন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ কার্যকর হবে। তারপর পিএনবি জালিয়াতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্তকে ডমিনিকায় ফিরতে হবে। যে দেশে চোকসির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রবেশের মামলা চলছে। পাশাপাশি অ্যান্টিগায় যখনই বাড়ি থেকে বেরবেন, তখনই ডমিনিকার কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নিয়মিত খবর দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত চোকসির দাবি করেন, ভারতীয় গোয়েন্দাদের ‘সহযোগিতার’ করার জন্য তিনি সর্বদা তৈরি ছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে ‘অপরহণের চেষ্টা’ করা হয়। চোকসির কথায়, ‘আমি বাড়ি ফিরে এসেছি। কিন্তু এই অত্যাচার আত্মার পরিবর্তে আমার মন এবং শরীরে চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়েছে। আমি ভাবতেও পারছি না যে যাবতীয় ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া এবং আমার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পরও ভারতীয় সংস্থাগুলি আমায় অপরহণের চেষ্টা করবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘স্বাস্থ্যজনিত কারণে আমি একাধিকবার এজেন্সিগুলিকে বলেছি যে এখানে এসে আমায় জেরা করতে। আমি আর কোথাও যেতে পারব না। আমি সর্বদা তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার জন্য তৈরি ছিলাম। কিন্তু এরকমভাবে অমানুষিক অপহরণের বিষয়টি কল্পনাও করতে পারিনি।’