মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণের জন্য সম্ভবত অল-আউট ঝাঁপাতে চলেছে ভারত। অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনির কথায় অন্তত সেরকমই আভাস মিলেছে। একটি এফএম চ্যানেলে তিনি জানিয়েছেন, ভারত থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমান ডমিনিকার ডগলাস চার্লস বিমানবন্দরে নেমেছে। যে দেশের জেলে বন্দি আছেন চোকসি।
একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়, শনিবার একটি বম্বার্ডিয়ার গ্লোবাল ৫,০০০ বিমান ডমিনিকায় নেমেছে। ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার বিমানটি নয়াদিল্লি থেকে উড়েছিল। যা মাদ্রিদ হয়ে ডমিনিকায় নেমেছে। একটি এফএম চ্যানেলে ব্রাউনি বলেছেন, ‘আমার ধারণা, চোকসি যে পলাতক, তা প্রমাণ করতে নিজেদের দেশের আদালত থেকে কিছু নথিপত্র পাঠিয়েছে ভারত সরকার।’ যা ডমিনিকার আদালতে চোকসির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকার অ্যান্টিগা নিউজরুম নামে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ব্রাউনি বলেন, ‘ওকে (চোকসি) আদালতের সামনে দাঁড় করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকার সম্ভবত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ভারতীয় আধিকারিকরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, ডমিনিকা থেকে চোকসিকে ফিরিয়ে আনার একটা সুযোগ আছে। চোকসি অ্যান্টিগায় গেলে সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘতর হতে পারে। কারণ সেখানে নাগরিকত্ব আছে চোকসির। যিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অ্যান্টিগাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এমনিতে শনিবার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত চোকসির এমনই দুটি ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করে অ্যান্টিগা নিউজরুম। ছবিদুটি পোস্ট করে ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে লেখা হয়েছে, ‘জেলের ভিতরে মেহুল চোকসির প্রথম ছবিগুলি সামনে এল।’ তবে এটা স্পষ্ট নয় যে অ্যান্টিগা নিউজরুম নামে ওই সংবাদমাধ্যম নিজেরাই সেই ছবি তুলেছে নাকি চোকসির আইনি দলের থেকে তা পেয়েছে। তবে তিন বছরে এটাই প্রথম চোকসির ছবি।