ডমিনিকার আদালতে জামিন পেলেন না পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। জামিন পেলে তিনি পালাতে পারেন, এই যুক্তিতে মেহুলকে জামিন দিল না আদালত। উল্লেখ্য, মেহুল এখন ডোমিনিকার হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে ভারত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। মেহুল চোক্সি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত। তার পর দু’জনেই পালিয়ে যান ভারত ছেড়ে। ২০১৮ সালে অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিকত্ব নেন চোকসি।
উল্লেখ্য, ২৩ মে অ্যান্টিগার জলি হারবার থেকে হঠাৎ উধাও হন পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। এরপর সন্দেহজনক অবস্থায় আরেকটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকার উপকূল থেকে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁকে। বেআইনি ভাবে দ্বীপে প্রবেশ করেছেন, এই অভিযোগে মেহুলকে গ্রেফতার করে ডমিনিকার পুলিশ।
ডমিনিকার আদালতে মেহুল দাবি করেন যে ২৩ মে বিকেলে তাঁর গার্লফ্রেন্ড বারবারা জাবারিকা তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে ৮ থেকে ১০ জন নিজেদের অ্যান্টিগার পুলিশ বলে দাবি করে অপহরণ করে তুলে নিয়ে আসে তাঁকে। মারধর করা হয়, কিন্তু তাঁর গার্লফ্রেন্ড কোনও বাধা দেননি। মেহুলের অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্রে বারবারা জড়িত।
অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গাস্টন ব্রাউনও জানান যে, অ্যান্টিগার নাগরিক মেহুল চোকসি তাঁর গার্লফ্রেন্ড বারবারা জাবারিকার সঙ্গে ডমিনিকায় পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও বারবারা জাবারিকা দাবি করেন, এসব মিথ্যে, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।