চোখ ফুলে লাল হয়ে গিয়েছে, হাতে কালশিটে, দাঁড়িয়ে আছেন গ্রিলের ধারে। শনিবার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসির এমনই দুটি ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করল অ্যান্টিগার একটি সংবাদমাধ্যম। ছবিদুটি পোস্ট করে ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে লেখা হয়েছে, ‘জেলের ভিতরে মেহুল চোকসির প্রথম ছবিগুলি সামনে এল।’
তবে এটা স্পষ্ট নয় যে অ্যান্টিগা নিউজরুম নামে ওই সংবাদসংস্থা নিজেরাই সেই ছবি তুলেছে নাকি চোকসির আইনি দলের থেকে তা পেয়েছে। তবে তিন বছরে এটাই প্রথম চোকসির ছবি। যিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অ্যান্টিগাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ছবি প্রকাশের পর থেকেই মেহুলকে মারধরের তত্ত্ব উঠে এসেছে। আর্থিক জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত চোকসির আইনজীবীও মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন।
সংবাদসংস্থা এএনআইতে চোকসির আইনজীবী ওয়েন মার্শ অভিযোগ করেছিলেন, ‘আমি খেয়াল করেছি যে তাঁকে (চোকসি) ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাঁর চোখ ফুলে গিয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার ক্ষত আছে। উনি জানিয়েছেন যে তাঁকে অ্যান্টিগার জলি হারবারে অপহরণ করা হয়। নিয়ে আসা হয় ডমিনিকায়। তাঁর বিশ্বাস, ভারত এবং অ্যান্টিগার পুলিশই ভেসেলে করে নিয়ে এসেছে। যে ভেসেল ৬০-৭০ ফুট লম্বা।’
সেই ছবি প্রকাশের একদিন আগেই ডমিনিকা থেকে তাঁর প্রত্যর্পণের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ইস্ট ক্যারিবিয়ান সুপ্রিম কোর্ট। যে চোকসি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) ১৩,৫০০ কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। চিকিৎসার জন্য চোকসিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অ্যান্টিগা থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন চোকসি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাংশের এলাকায় চোকসিকে গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি যে গাড়িতে ছিলেন, সেটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর খোঁজে অভিযান শুরু করে অ্যান্টিগা পুলিশ। শেষপর্যন্ত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ডমিনিকায় চোকসির খোঁজ মেলে। ব্রাউনি জানান, বেআইনিভাবে অ্যান্টিগা থেকে পালিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন চোকসি। তারপর অ্যান্টিগা এবং বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি জানান, আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে রাজি হয়েছে ডমিনিকা। তাঁকে ঢুকতেও দেবে না অ্যান্টিগা। বরং চোকসিকে যাতে অ্যান্টিগায় ফেরত পাঠানো না হয়, সেজন্য ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রোজভেল্ট স্কেরিটকে আর্জি জানান।