কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া। ডমিনিকা থেকে তাঁর প্রত্যর্পণের উপর স্থগিতাদেশ দিল ইস্ট ক্যারিবিয়ান সুপ্রিম কোর্ট। যে চোকসি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) ১৩,৫০০ কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে অবিলম্বে ইমেল এবং ফ্যাক্সের মাধ্যমে বিবাদীপক্ষকে রায়ের কপি দিতে হবে। সামনা-সামনিও দিতে হবে রায়ের কপি। পাশাপাশি ইমেল এবং ফ্যাক্সের মাধ্যমে ডগলাস চার্লস বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের প্রধানকেও রায়ের কপি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার সকাল ন'টায় (স্থানীয় সময় অনুয়ায়ী) আবারও সেই মামলার শুনানি হবে।
আগে ডমিনিকায় চোকসির আইনজীবী ওয়েন মার্শ অভিযোগ করেন, প্রাথমিকভাবে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবারই আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত চোকসির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ মেলে। সংবাদসংস্থাকে ওয়েন বলেন, ‘আমি খেয়াল করেছি যে তাঁকে (চোকসি) ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাঁর চোখ ফুলে গিয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার ক্ষত আছে। উনি জানিয়েছেন যে তাঁকে অ্যান্টিগার জলি হারবারে অপহরণ করা হয়। নিয়ে আসা হয় ডমিনিকায়। তাঁর বিশ্বাস, ভারত এবং অ্যান্টিগার পুলিশই ভেসেলে করে নিয়ে এসেছে। যে ভেসেল ৬০-৭০ ফুট লম্বা।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার অ্যান্টিগা থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন চোকসি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাংশের এলাকায় চোকসিকে গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি যে গাড়িতে ছিলেন, সেটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর খোঁজে অভিযান শুরু করে অ্যান্টিগা পুলিশ। শেষপর্যন্ত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ডমিনিকায় চোকসির খোঁজ মেলে। ব্রাউনি জানান, বেআইনিভাবে অ্যান্টিগা থেকে পালিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন চোকসি। তারপর অ্যান্টিগা এবং বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি জানান, আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে রাজি হয়েছে ডমিনিকা। তাঁকে ঢুকতেও দেবে না অ্যান্টিগা। বরং চোকসিকে যাতে অ্যান্টিগায় ফেরত পাঠানো না হয়, সেজন্য ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রোজভেল্ট স্কেরিটকে আর্জি জানিয়েছেন।