মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাননি। তবে এখনও তিনি হাল ছাড়ছেন না। এদিকে ট্রাম্পের পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন পাকিস্তান। এই আবহে ফের একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আর ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে শরিফের ঘোষণার পরপরই ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনির মুখভঙ্গিমা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: UN-এর মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে ধুলেন ভারতের বাম সাংসদ! বললেন PoK নিয়েও…)
(আরও পড়ুন: মেলোনির সিগারেট খাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন তুর্কি প্রেসিডেন্ট, এরপর ফেটে পড়লেন হাসিতে)
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এদিকে ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির জন্যেও ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিলেন শেহবাজ। পরে শরিফের ভাষণ শেষ হওয়ার সময় জর্জিও মেলোনি হাসলেও তাঁর মুখ কতকটা বিকৃত ছিল। যা চোখ এড়ায়নি অনেকেরই। এই আবহে মেলোনির সেই হাসির দৃশ্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে শেহবাজ শরিফের প্রশংসা শুনে গদগদ হয়ে যান ট্রাম্প।
এদিকে গাজার শান্তি সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেহবাজ বলেন, 'এই ভদ্রলোক (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যদি না থাকতেন... ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশই পরমাণু শক্তিধর... কে জানে সেই কাহিনী বলার জন্য তাহলে কে বেঁচে থাকত।' শেহবাজর এই কথা শুনে ট্রাম্প বলেন, 'এটা বেশ সুন্দর ছিল। আমি এটা (প্রশংসা) আশা করিনি।' এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের একবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য শেহবাজ মনোনীত করায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশন পরমর্শদাতা মার্গো মার্টিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শরিফের বক্তব্য পোস্ট করেন। এদিকে ভারত-পাক শান্তি নিয়ে সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই ট্রাম্প বলেন, 'আমি আশা করি এরপর ভারত এবং পাকিস্তান সুন্দর ভাবে একসঙ্গে থাকবে।' এই কথা বলেই পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দিকে তাকান ট্রাম্প। তখন শরিফ ঝুঁকে পড়ে হাসতে হাসতে ট্রাম্পকে কিছু বলছিলেন। যা দেখে হেসে ফেলেন ট্রাম্প।
এদিকে গতকাল মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় মেলোনি রূপের প্রশংসা করতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। গাজায় শান্তি ফেরানো নিয়ে মঞ্চে তখন ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলে ওঠেন, 'আমাদের মাঝে এখানে একজন তরুণ মহিলা আছেন... বাকিটা বলতে পারছি না। আমেরিকায় সাধারণত কোনও মহিলাকে সুন্দর বললে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। তবে এই ক্ষেত্রে আমি ঝুঁকি নেব।' এরপর মেলোনির দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, 'আপনাকে সুন্দর বললে আশা করি আপনি রাগ করবেন না, তাই নাই? কারণ আপনি সুন্দর।'