বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Menstrual Blood Sold for 'Puja': 'পুজো'র জন্য স্ত্রীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী! দাম শুনলে ঘুরবে মাথা

Menstrual Blood Sold for 'Puja': 'পুজো'র জন্য স্ত্রীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী! দাম শুনলে ঘুরবে মাথা

'পুজো'র জন্য স্ত্রীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী

অঘোরী পুজোর জন্য ২৭ বছর বয়সি এক নারীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনই অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে মবারাষ্ট্রে। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলার শ্বশুরবাড়ি মহারাষ্ট্রের বীড় জেলায়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ঋতুস্রাবের রক্ত সংগ্রহ করার জন্য তাঁর ওপর রীতিমতো 'অত্যাচার' চালানো হয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের তরফে।

অঘোরী পুজোর জন্য ২৭ বছর বয়সি এক নারীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনই অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে মবারাষ্ট্রে। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলার শ্বশুরবাড়ি মহারাষ্ট্রের বীড় জেলায়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ঋতুস্রাবের রক্ত সংগ্রহ করার জন্য তাঁর ওপর রীতিমতো 'অত্যাচার' চালানো হয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের তরফে। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে তাঁকে বিভিন্ন সময় হেনস্থা করা হয়েছে। বিশ্রান্তওয়াড়ি পুলিশ স্টেশনে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অভিযোগকারীর মহিলার ঋতুস্রাবের রক্ত যেই অর্থের বিনিময়ে বিক্তি করা হয়েছে, তা রীতিমতো হতবাক করে দেওয়ার মতো।

অভিযোগকারী মহিলার দাবি, ২০১৯ সাল থেকেই বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ভাবে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে এসেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ২০২২ সালে গণেশ উৎসবের সময় অঘোরী পুজোর জন্য জোর করে তাঁর ঋতুস্রাবের রক্ত ​​নিয়েছিল। এই ঘটনার পরই সেই মহিলা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পুনেতে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসেন। এরপরে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জানা গিয়েছে, মহিলার ঋতুস্রাবের রক্ত ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে অঘোরী পুজোর জন্য। এই ঘটনার ওপর নজর রেখেছে রাজ্য মহিলা কমিশনও। সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ (অপ্রাকৃতিক অপরাধ), ৩৫৪(এ) (যৌন হেনস্থা), ৪৯৮(এ) (মহিলাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা), ৫০৪ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় জখম করা) ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাছাড়া আইপিসির ৩৪ ধারাতেও মামলা করা হয়েছে। আর তাছাড়া মহারাষ্ট্র মানব বলিদানের নির্মূল এবং প্রতিরোধ আইন, অঘোরী অনুশীলন এবং কালো জাদু আইনের ধারাগুলিতেও মামলা করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্তা সাবইন্সপেক্টর শুভাঙ্গী মগদুম ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'মানসিক ও শারীরিক হয়রানির শিকার হওয়ায় নির্যাতিতা তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে। আমরা তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করেছি এবং সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রধান রূপালী চকনাকর বলেন, 'অভিযুক্তরা নির্যাতিতার ঋতুস্রাবের রক্ত ​​নিয়েছিল এবং অঘোরী পূজার জন্য তা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল। এটি একটি লজ্জাজনক ঘটনা যা মানবতাকে কলঙ্কিত করেছে। এটা মর্মান্তিক যে পুনের মতো প্রগতিশীল শহরে মহিলারা এখনও এই ধরনের অপরাধের শিকার হচ্ছেন। এই ধরনের অপরাধ থেকে নারীদের রক্ষা করতে এবং সমাজে তাদের আরও শক্তিশালী করতে আরও সংগ্রাম প্রয়োজন। রাজ্য মহিলা কমিশন এই ঘটনার ওপর নজর রাখছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বন্ধ করুন