ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা মেটার তরফে ঘোষণা করা হয়, তৃতীয়পক্ষের দ্বারা যে ফ্যাক্ট চেকিং এতদিন চলত, তা বাতিল করা হচ্ছে। এই ঘোষণার পরে জো বাইডেন তীব্র সমালোচনা করেছেন মেটার। অপরদিকে মেটা প্রধান মার্ক জুকারবার্গ এক পডকাস্টে এসে অভিযোগ করলেন, বাইডেনের প্রশাসনের লোকজনরাই মেটাকে ফোন করে গালি দিত এবং ধমক দিত। তিনি আরও বলেন, তৃতীয়পক্ষের কাউকে দিয়ে এই ফ্যাক্ট চেকিং করানোর বিষয়টা যেন ১৯৮৪ সালের কোনও কিছু ছিল। উল্লেখ্য, জো রোগানের পডকাস্টে এসে জুকারবার্গ দাবি করেন, সরকার তাদের ওপর চাপ দিয়ে কনটেন্ট সরাতে বাধ্য করত। (আরও পড়ুন: ২০০৫-এ যখন আমেরিকা আমার ভিসার আবেদন নাকচ করে... পডকাস্টে অকপট মোদী)
আরও পড়ুন: পরপর প্রচেষ্টায় বিফল, মহাশূন্যে আদৌ 'মিলন' হবে ২ স্যাটেলাইটের? ISRO বলল...
জুকারবার্গ বলেন, 'বাইডেনের প্রশাসনের লোকজন আমাদের টিমকে ফোন করত এবং ধমক দিত। তারা আমাদের গালি দিত।' জুকারবার্গকে এরপর রোগান প্রশ্ন করেছিলেন, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা নথি তাঁর কাছে সংরক্ষিত আছে কি না। জবাবে জুকারবার্গ বলেন, 'এই সংক্রান্ত ইমেল আছে। যা প্রকাশ করা হয়েছে।' এরপর মেটা সিইও আরও বলেন, 'একটা সময় এমন হয়ে গিয়েছিল যে আমরা আর সত্যি ঘটনা সংক্রান্ত কোনও পোস্ট সরাতে বারণ করে দিই। তারা চেয়েছিল যাতে আমরা লিওনার্দো দিক্যাপ্রিওকে নিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি মিম সরিয়ে দিই। আমরা কোভিডের সময় মিম সরাতে অস্বীকার করি। তখন বাইডেন বলেন, আমরা নাকি মানুষ মারছি। এরপরই সব এজেন্সি আমাদের পিছনে লাগল।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালাবদলের নেপথ্যে আমেরিকা ছিল বলে মনে করে ভারত? জবাব দিলেন মার্কিন NSA)
আরও পড়ুন: বছরে ১১০০০০ প্রোমোশন হয়েছে, ক্যাম্পাসিংয়ে নিয়োগ হবে আগের থেকে বেশি: TCS
আরও পড়ুন: লুকিয়ে আছে কয়েকশো কোটি টাকার সোনা, সিন্ধু নদে 'গুপ্তধন' খুঁজে পেল পাকিস্তান!
এদিকে ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে জুকারবার্গ বলেন, 'পৃথিবী ফ্ল্যাট... এই ধরনের পুরোপুরি ভুয়ো কনটেন্টের ক্ষেত্রে আমরা ফ্যাক্ট চেকিং শুরু করেছিলাম। তবে ধীরে ধীরে সেটা রাজনৈতিক দিকে মোড় নেয়। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম যাতে আমাদের প্রাথমিক যে লক্ষ্য ছিল, সেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকুক ফ্যাক্ট চেকিং। মানুষের মতাদর্শকে দমন করার কোনও অভিপ্রায় আমাদের ছিল না। এই ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়া যেন ১৯৮৪ সালের মতো ছিল। আমেরিকার মতো জায়গায় মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করছিল এই প্রক্রিয়া।' এর আগে মেটার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তৃতীয় পক্ষের তথ্য যাচাইকারীদের পক্ষপাতিত্বের জেরেই এই প্রোগ্রাম বন্ধ করা হচ্ছে। মেটার চিফ গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার জোয়েল কাপলান জানিয়েছেন, 'এক্স' যেমন 'কমিউনিটি নোট' মডেল ব্যবহার করে থাকে, সেরকমই করবে জুকারবার্গের সংস্থা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা থ্রেডের কোনও পোস্টকে যদি বিভ্রান্তিকর বলে মনে করা হয়, তাতে সেই 'কমিউনিটি নোট' যুক্ত করে দেওয়া হবে।