বোনাসের মাত্র একদিন বাকি ছিল। তার আগেই কোম্পানির তথ্য স্ত্রীয়ের সঙ্গে শেয়ারের অভিযোগে সেরা কর্মীকেই বরখাস্ত করে দিয়েছে মেটা। প্রাক্তন মেটা কর্মী রাইলি বার্টন লিঙ্কডইনে নিজেকে 'স্টাফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার' হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ঘটনাকে তিনি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভয়ানক বলে বর্ণনা করেছেন। (আরও পড়ুন: ওয়াকফে তপ্ত দিল্লি, মুসলিম প্রতিবাদীদের সামনে হনুমান চালিসা পাঠ হিন্দুত্ববাদীদের)
রাইলি বার্টন জানান, তিনি ১৪ জানুয়ারি মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গের অভ্যন্তরীণ পোস্টের একটি অংশ স্ত্রীয়ের সঙ্গে শেয়ার করেন। পোস্টটিতে কর্মীদের জন্য কঠোর কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করেছিলেন মার্ক। যা আগেই বিজনেস ইনসাইডার এবং দ্য ভার্জ-র মতো ওয়েবসাইটগুলিতে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল।কিন্তু তিনি মার্কার ওই অভ্যন্তরীন পোস্টটি সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস করেননি। শুধুমাত্র তিনি তার স্ত্রীয়ের সঙ্গে পোস্টটি শেয়ার করেছিলেন। আর শুধুমাত্র সেই জন্য চাকরি হারাতে হয়েছে তাঁকে। বার্টন দাবি করেছেন, তথ্য শেয়ার করার কয়েক মাস পরে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। ঠিক বোনাস পাওয়ার আগের দিনই।তিনি বলেন, 'আমি অউটস্টান্ডিং পারফরম্যান্স করেছি। কাকতালীয়ভাবে, আমার বরখাস্তের দিনটি ছিল বোনাস পাওয়ার ঠিক আগের দিন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'একই ধরণের ঘটনার ফলে শত শত মেটা কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি এমন লোকদের গল্পও শুনছি যারা মেটা সিইও-র পোস্টের লেখাটি তাদের নিজস্ব ল্যাপটপে কপি পেস্ট করেছে। অ্যাপল নোটস আইক্লাউডের সঙ্গে সিঙ্ক করার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল।' (আরও পড়ুন: 'শরীরের যেখানেই ***...', সোনা পাচার কাণ্ডে অভিনেত্রীকে নিয়ে বেলাগাম BJP বিধায়ক)
মেটা অবশ্য প্রাক্তন কর্মীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ্যে কোনও বক্তব্য রাখেনি। এর আগে মেটার মুখপাত্র ডেভ আর্নল্ড বলেছিলেন, 'কর্মীদের কোম্পানিতে যোগ দিতে হলে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে। সেটা পর্যায়ক্রমিকভাবে মনে করিয়েও দেওয়া হয়। কর্মীরা এটাও জানেন যে, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস করা নীতির বিরুদ্ধে। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন! আমরা সম্প্রতি একটি তদন্ত পরিচালনা করেছি। তখনই তদন্তে জানতে পারি যে, কোম্পানির বাইরে গোপনীয় তথ্য ফাঁস করা হয়েছে। সেই অভিযোগেই ২০ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বরখাস্ত করা হতে পারে। তাই এই তদন্তকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। যখন আমরা ফাঁস শনাক্ত করব তখন ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখব।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে চাপের মুখে পড়েছে মার্ক জুকারবার্গ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি কর্মীদের সঙ্গে মার্ক জুকারবার্গের বৈঠকের ভিত্তিতে এই বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে। ওই বৈঠকে জুকারবার্গ কর্মীদের বলেছেন, তিনি আর তথ্য নিয়ে মুখ খুলবেন না। কারণ খোলামেলাভাবে তথ্য শেয়ার করলেই তা ফাঁস হয়ে যায়। এটা বিরক্তিকর।