সমুদ্র পথে পাকিস্তান থেকে ভারতে মাদক পাচারের ঘটনা প্রায়শয়ই ঘটে থকে। তবে সেই পাচার রুখতে তৎপর দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌসেনা এবং এনসিবি। সাধারণ গুজরাট উপকূল দিয়েই ভারতে এই মাদক পাচারের চেষ্টা চালানো হয়। তবে সম্প্রতি কেরল উপকূলের কাছে উদ্ধার ১২ হাজার কোটি টাকার মাদক। জানা গিয়েছে, ঘটনায় এক পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫০০ কেটি 'মেথ' পাওয়া গিয়েছে। শনিবারই এক অভিযান চালিয়ে এই মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে ধৃত সন্দেহভাজন এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য কোচিনের মাত্তানচেরি ওয়ার্ফে আনা হয়। এনসিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এনসিবির তরফে জানানো হয়েছে, এত পরিমাণে মেথ এর আগে একসঙ্গে কখনও বাজেয়াপ্ত হয়নি ভারতে। এই অভিযানে ভারতীয় নৌসেনা তাদের সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে এনসিবি। জানা গিয়েছে, একটি বড় জাহাজে করে মাদক নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখান থেকে মাঝ সমুদ্রেই ছোট ছোট নৌকা করে সেই মাদর অল্প অল্প করে ভারতে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। এই আবহে বড় জাহাজটিকেই আটকে ১৩৪টি বস্তায় থাকা ২৫০০ কেজি মেথ উদ্ধার করে নৌসেনা। জানা যায়, চালের বস্তায় লুকিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেই মেথ। বস্তায় ঊর্দুতে লেখা আছে। এছাড়া 'পাকিস্তান' শব্দটিও রয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে পাচার হওয়া মাদকের অধিকাংশ আসে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা ইরান থেকে।
এনসিবি মুখপাত্র এই অভিযান প্রসঙ্গে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এই বড় মাদক পাচারকারী জাহাজের বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন তারা। এরপর সেই তথ্য নৌসেনাকে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, যখন মাদক বহনকারী জাহাজটিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আটকায়, তখন একটি ছোট স্পিডবোটে করে এক পাক নাগরিক পালানোর চেষ্টা করছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নৌসেনার আধিকারিকরা সেই পাক নাগরিককে ধরে ফেলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে চালু করা 'অপারেশন সমুদ্রগুপ্ত'-এর অধীনেই এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান এসবিবি ডিজি (অপারেশনস) সঞ্জয় কুমার সিং। নৌসেনা ছাড়াও এই অভিযানে ডিআরআই এবং গুজরাট এটিএস সাহায্য করে বলে জানানো হয়েছে এনসবির তরফে।