এমজে আকবরের হাতে যৌন হেনস্থার স্বীকার হয়েছিলেন। এই অভিযোগ করায় সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন তাঁর এককালের সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এমজে আকবর। কিন্তু দিল্লির আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর সেই মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলেন প্রিয়া। আদালত বলল যে কোনও মহিলা তাঁর সঙ্গে হওয়া কোনও খারাপ ঘটনার কথা বলতে পারেন। কত বছর বাদে তিনি বলছেন সেটা প্রাসঙ্গিক নয়।
এখনও যে সারা দেশে যৌন হেনস্থার ঘটনা হচ্ছে সেটি অত্যন্ত লজ্জানক বলে এদিন তাঁর রায়ে লিখেছেন বিচারক। মহাভরত ও রামায়ণের কীভাবে মহিলাদের সম্মান জানানোর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, সেই কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিচারক বলেন যে দেশে যৌন হেনস্থা নিয়ে যে এখনও লোকের মনোভাব আছে, সেই কারণে অনেকে অভিযোগ দায়ের করেন না। অনেক সময় নির্যাতিতরা বুঝে উঠতে পারেন না কী করণীয়। মুখ বুজে সব স্বীকার করে নেন বলে জানান বিচারক।
আদালত রামানির পক্ষের যুক্তি মেনে নেয় যে আকবরের চরিত্র কলঙ্কহীন নয় ও কোনও ব্যক্তির সুনাম রক্ষার অধিকার কোনও মহিলার জীবনের অধিকারের চেয়ে বেশি নয়। যেই সময় এই ঘটনাটি হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই সময় এই সংক্রান্ত কোনও আইন বা গাইডলাইনস ছিল না, সেই বিষয়টি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করে আদালত। এখন কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলে বিশাখা গাইডলাইনস অনুযায়ী তার বিচার হয়।
প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করতে ২০১৮ সালে শুরু হয় #Metoo আন্দোলন। তখনই প্রিয়া রামানি প্রাক্তন সাংবাদিক এমজে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। একাধিক মহিলার সঙ্গে এরকম আচরণ তিনি করেছেন বলে রামানি অভিযোগ করেন। ১৯৯৩ সালে একটি হোটেলের ঘরে আকবর এই ঘৃণ্য আচরণ করেছিলেন বলে রামানি অভিযোগ করেন। এর জেরে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে হয় এমজে আকবর। কিন্তু তার আগে তিনি রামানির বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। অবশেষে সেই মামলার রায় এল।