চোরেদের কীর্তির জন্য ফের ভোগান্তির শিকার হলেন যাত্রীরা। দিল্লি মেট্রোর রেড (লাল) লাইনে শাহদারা এবং সিলামপুর স্টেশনের মধ্যে বিদ্যুতের তার চুরি হয়ে যায়। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সিগন্যালের তার খোয়া গিয়েছে। আর তার জেরে ওই লাইনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। মনে করা হচ্ছে, তার চুরির নেপথ্যে স্থানীয় চোরেরাই রয়েছে। এই কাণ্ডের ফলে মাশুল দিতে হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ‘অশ্লীল’ নাচ ২ তরুণীর, দিল্লি মেট্রো স্টেশনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অভিযোগ দায়ের
দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)-এর তরফে জানানো হয়, ‘আরও একটি কেবল চুরির ঘটনার কারণে সকাল থেকেই রেড লাইনে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই ধরনের কেবল চুরির ঘটনার কারণে যাত্রীদের যে অসুবিধা হচ্ছে, তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। ডিএমআরসি এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ব্যস্ত সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামত করার চেষ্টা করা হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে রাতের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে।’
সকাল থেকেই বিদ্যুতের নতুন তার বসানোর কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের হাতে অতিরিক্ত সময় নিয়ে মেট্রোয় ওঠার পরামর্শ দেন। পরে জানা গিয়েছে, দুপুর নাগাদ রাজধানীর মেট্রো পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়েছে। দিল্লির মেট্রো কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এমন এক জায়গায় বিদ্যুতের তার চুরির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই। সাধারণত মেট্রো স্টেশনগুলিতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে। কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে দুই স্টেশনের মাঝে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি জায়গায়। ফলে দূরবর্তী সিসি ক্যামেরাতে ওঠা ফুটেজ দেখেও অভিযুক্তদের শনাক্ত করার কোনও উপায় নেই।
প্রসঙ্গত, রেড লাইন দিল্লি মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। তবে এই প্রথম নয়, গত বছর ডিসেম্বরে দিল্লি মেট্রোর ব্লু (নীল) লাইনে মোতিনগর এবং কীর্তিনগর স্টেশনের মধ্যে বিদ্যুতের তার চুরি হয়ে যায়। তার জেরে ওই লাইনে ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।