দেশ কালের সীমা মানে না প্রেম। মানে না বয়সের সীমা। জাতি ধর্মের কোনও বাধাই প্রেমকে আটকাতে পারে না। ফেসবুকের দৌলতে এরকম প্রেমের গল্প অসংখ্য। সেইরকমই একটি প্রেমের গল্প হল বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেক্সিকান কন্যার প্রেম। আর তাদের সেই প্রেম পরিণতি পেল ফেসবুকের দৌলতে। মেক্সিকান কন্যা গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশের জামালপুরের বছর ২৯-এক যুবক রবিউল হাসান রুমান। দু'জনের মধ্যে বয়সের ব্যবধান হল তিন।
তাঁদের আলাপ হয়েছিল ফেসবুকে। সারাদিন ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে পছন্দ করেন দু'জনেই। সেই সূত্রেই একদিন গ্লাডিসের সঙ্গে আলাপ হয় রবিউলের। দু'বছর আগে তাঁদের আলাপ হয়। এরপরে দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক পরিণতি পায় প্রেমে। দু'জনে ঠিক করেন তাঁরা একে অপরকে ভালো করে চিনে নেবেন এবং তারপরে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই সময়ের মধ্যেই তারা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের পরিবারকে বোঝায়। অবশ্য পরিবারের তরফে প্রথমে আপত্তি জানানো হলেও পরে তা মেনে নিয়ে দু'পক্ষের পরিবার। দু'বছর পর অবশেষে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সিদ্ধান্তের পরেই মেক্সিকো থেকে গত রবিবার বাংলাদেশে পৌঁছান গ্লাডিস। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রবিউলের পরিবারের লোকেরা। বাংলাদেশ পৌঁছানোর পরেই ঢাকা জজ কোর্টে ধর্মও পরিবর্তন করে ফেললেন গ্লাডিস। আর তারপরেই ইসলাম ধর্ম মতে রবিউলের সঙ্গে বিবাহ সেরে ফেলেন মেক্সিকান কন্যা।
রবিউল ময়মনসিংহের রুমডো ইনস্টিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্স করছেন। মেক্সিকান কন্যা বাংলাদেশি ওই যুবককে ৩ বছরের বড়। রবিউল জানান,'আমি দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু খুঁজছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা পেয়েও গেলাম। ' অন্যদিকে, ধর্ম পরিবর্তন করে মেক্সিকান কন্যার নাম হয়েছে লাইলি আখতার। মেক্সিকোর পোএবলা শহরের ব্যবসায়ী গ্রেগ্রোরিও টরিবিওর এই কন্যার বাংলাদেশে বেশ ভালোই লেগেছে। আপাতত কয়েকদিন তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।