২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি (এমজিপি)। তবে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে আর তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধবে না দলটি। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এমজিপি। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা প্রবীণ এমজিপি নেতা রামকৃষ্ণ সুদিন ধাবলিকার একথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, এমজিপি এবং বিজেপি একসঙ্গে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে এবং নির্বাচন ঘোষণার পরেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গত সপ্তাহে এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গে আলোচনার পর এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সুদিন জানান।
আরও পড়ুন: গোয়ায় সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে এমজিপি, দাবি বিজেপির, আকাশ থেকে পড়ছে তৃণমূল
গত বিধানসভা নির্বাচনে এমজিপি তৃণমূলের সঙ্গে ভোটে লড়ার পর মার্কাইম এবং মান্দ্রেম আসনে জয়ী হয়েছিল। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে এমজিপি বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। বর্তমানে, এমজিপির মন্ত্রিসভায় একজন বিধায়ক রয়েছেন এবং অন্য বিধায়ককে গোয়া হাউজিং বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা রদবদলের বিষয়ে ধাবলিকার বলেন, এমজিপি বিজেপির জোট শরিক এবং বিজেপিকে রদবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই আগামী নির্বাচনে একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরজন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা হলেই আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই আসনটি আমাদের দেওয়া হোক বা ওই আসনটি আমাদের দেওয়া হোক এমন অযৌক্তিক দাবি আমরা করব না। যেখানে আমাদের দল সত্যিকার অর্থে কাজ করে সেখানে আমরা আসন চাইব।’
শক্তিমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে এমজিপির সংগঠন আগামী দুই বছর শক্তিশালী দল সংগঠন গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করবে। যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে সেগুলির সমাধান করা হবে। এছাড়াও, ধাভালিকার বলেন, যে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সংশোধন আনা দরকার। যাতে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি যদি দলত্যাগ করেন তাহলে তাঁকে যেন পরবর্তী দুটি নির্বাচন লড়তে না দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এমজিপি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ৪০টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এমজিপি এবং ২৬টি আসনে লড়েছিল তৃণমূল। পরে এমজিপি সাওয়ান্তের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে সমর্থন করেছিল।