একে তবলিগি জামাতের সদস্যদের খুঁজে বার করতে হন্যে হচ্ছে পুলিশ। এবার তার সঙ্গে জামাতের সভায় যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদেরও চিহ্নিত করতে হবে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে। সেই মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে চিঠি গিয়েছে সমস্ত রাজ্যের কাছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানতে পেরেছে, শুধু দিল্লি নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জামাতের সভায় উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গারা। সবচেয়ে যেটা চিন্তার কথা, তার মধ্যে অনেকেই বেপাত্তা। এই নিয়েই এখন চিন্তায় ঘুম ছুটছে কেন্দ্রের।
দ্রুত এই সকল রোহিঙ্গা ও তাদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের শনাক্ত করতে রাজ্যগুলিকে বলেছে কেন্দ্র। হায়দরাবাদে থাকা কিছু রোহিঙ্গা হরিয়ানার মেয়াটে গিয়েছিলেন। পরে তারা নিজামুদ্দিন মার্কাজেও যান। একই ভাবে দিল্লির শাহিনবাগ, শ্রমবিহার প্রভৃতি জায়গায় থাকা রোহিঙ্গারাও গিয়েছিলেন নিজামুদ্দিনে কিন্তু তারা এখন বেপাত্তা। পঞ্জাব ও জম্মুতেও এমন অনেক রোহিঙ্গা আছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ভারত সরকারের হিসাব অনুযায়ী দেশে বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রায় ৪০০০০ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। মায়ানমারে অত্যাচারিত হয়েই এই দেশে এসেছেন তাঁরা। হোম মিনিস্ট্রি বলেছে যে রোহিঙ্গা ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সেই জন্যে যা প্রয়োজন সেটা করুন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তা জানিয়েছেন যে একে তবলিগিদের নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল। এবার যদি জানা যায়, রোহিঙ্গাদের মধ্যেও ছড়িয়েছে করোনা, তাহলে বড় সমস্যা হয়ে যাবে।