ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আক্রমণ, পালটা আক্রমণ। এই আবহেই এবার ভারতের সবক'টি রাজ্যের সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে জরুরি অবস্থাকালীন ক্ষমতা বলবৎ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে - আজ (শুক্রবার - ৯ মে, ২০২৫) সংশ্লিষ্ট সবক'টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্তাদের এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। তাতে বলা হয়েছে, ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ নম্বর ধারা অনুসারে প্রদত্ত জরুরি অবস্থার ক্ষমতা বলবৎ করুন!
তথ্য বলছে, যেকোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাতে আমজনতাকে রক্ষা করা, সমস্ত সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং জল, বিদ্যুৎ ও পরিবহণের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি সচল রাখা যায়, তার জন্যই সংশ্লিষ্ট বিধির ওই ধারা প্রয়োগ করা হয়।
অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ নম্বর ধারা অনুসারে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কী কী পদক্ষেপ করতে পারে?
প্রথমত, দেশের জনগণ এবং সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রয়োজন মাফিক সমস্ত জরুরি পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন।
দ্বিতীয়, আপতকালীন বা জরুরি পরিস্থিতিতেও যাতে জল, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল এবং যোগাযোগব্যবস্থা সচল থাকে, তার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
তৃতীয়ত, অসামরিক প্রতিরক্ষার জন্য যদি কোনও সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে এমন কোনও নিয়ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আর থাকে না, যা গোটা প্রক্রিয়াটিকে বিলম্বিত করতে পারে।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, শাহের মন্ত্রকের এই নির্দেশ আসার অর্থ হল - দেশের যেকোনও প্রান্তে যদি এখন কোনও হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনগুলিই দ্রুততার সঙ্গে করতে পারবে। তাতে আর কোনও বাধা থাকল না। সেই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারই দিয়ে দিল!