লকডাউনের মধ্যে পুরো মাইনে দিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। আদালতেও চ্যালেঞ্জ হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত। এবার অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। চতুর্থ দফার লকডাউন চলবে ৩১ মে অবধি, যদিও কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সব জায়গায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করতে আর বাঁধা নেই।
পুরো মাইনে দেওয়া আবশ্যিক নয়, এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে বহু ধুঁকতে থাকা শিল্প ও সংস্থাগুলি। চতুর্থ দফার গাইডলাইনসেই এই বলা হয়েছে যে মাইনে দেওয়া নিয়ে আগের সিদ্ধান্তে ইতি টানা হল। রবিবারের গাইডলাইনে রয়েছে ছটি পয়েন্ট যা মূলত মানুষের যাতায়াত সম্পর্কিত। কিন্তু গত ২৯ মার্চ যে নির্দেশিকা ছিল যে লকডাউনে কলকারখানা বন্ধ থাকলেও মাস মাইনে নির্ধারিত সময়ে দিতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিচারপতিরা বলেন যে অনেক ছোটো সংস্থার হয়তো কোনও রোজগারই নেই। তারা টাকা দেবে কী করে। মাইনে না দিতে পারলে কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আপাতত নেওয়া যাবে না, বলে দিয়েছিল আদালত।
এবার অবশ্য সেই সংক্রান্ত নিয়মই অবলুপ্ত করল কেন্দ্র। তবে এতে আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন যে আর্থিক প্যাকেজেও কিছু নেই। এবার মাইনে দেওয়ার নির্দেশও প্রত্যাহার করল সরকার।