তাঁর অজান্তেই তাঁর কাজের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে অল্পবয়সি বহু কিশোরী, যুবতীর জীবনে। অনেকেই মোটা ফ্রেমের চশমা ও কালো লম্বা চুলের কম্বিনেশন বদলে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের সকলের কাছে এবার ক্ষমা প্রার্থনা করলেন প্রাক্তন অ্যাডাল্ট এন্টারটেইনার মিয়া খলিফা।
'আমার ১৩ বছর বয়স তখন। চশমা পরলেই ছেলেরা বলত আমাকে মিয়া খলিফার মতো লাগছে। লজ্জায় চশমা পডরতেই পারতাম না। এখনও তাই,' টিকটক ভিডিয়োয় অভিযোগ করেছিলেন এর মার্কিন যুবতী।
তবে শুধু তিনিই নন বহু যুবতীই এই সমস্যার শিকার বলে জানান। বিশেষত বাদামি বর্ণ, অর্থাত্ ভারত, বাংলাদেশ, মধ্য প্রাচ্যের মেয়েদের সাধারণত লম্বা কালো চুল থাকে। সেই সঙ্গে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা পরলেই তাঁদের 'মিয়া খলিফা' বলে মস্করা শুনতে হয়েছে। অনেকে তা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন বা প্রশংসা হিসাবেই নিয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগই অপমানিত বোধ করেছেন।
তাঁদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মিয়া খলিফা। সেই টিকটকের সঙ্গেই তিনি ডুয়েট করেন। সেখানে তাঁকে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি জানান, এই জন্যই আর চশমা পরেন না। এছাড়াও টুইটারে তাঁর জন্য যে যে মেয়েদের এভাবে অপমানিত হতে হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চান মিয়া। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসে মিয়া খলিফার নাম। অনেকেই এভাবে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য মিয়ার প্রশংসা করেন। অনেকেই তাঁকে সমর্থন করে বলেন যে এতে মিয়ার কোনও দোষ নেই।
তাঁদের প্রশ্ংসার স্ক্রিনশটও টুইট করেন মিয়া খালিফা। #wesupportyoumia হ্যাশট্যাগে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই।মিয়া জানিয়েছেন এই কারণে তিনি আর চশমা পরেন না। তাঁর জন্য যেন কোনও মেয়েকে অপমানিত হতে না হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।