রিলায়েন্স জিও-কে ‘বিশ্বের অগ্রণী টেলিকম অপারেটর সংস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করল আমেরিকা। বুধবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে বলেন, চিনা গোয়েন্দা বিভাগের মদতপুষ্ট হুয়ায়েই (Huawei) সংস্থাকে টেক্কা দিতে পারে জিও-র মতো ‘পরিচ্ছন্ন টেলিকম’ সংস্থাই।
নেক্সট জেনারেশন ৫জি পরিষেবায় হুয়াওয়েই-এর একচ্ছত্র প্রভাব রুখতে সক্রিয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিশ্বনেতারে কাছে চিনা সংস্থাটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য এর আগেই আবেদন জানিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, হুয়াওয়েই-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে চিনের গোয়েন্দা বিভাগের।
বুধবার পম্পিও বলেন, ‘বিশ্বে চিনা চরবৃত্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ার ফলে হুয়ায়েই-এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠেছে। এর জেরে আন্তর্জাতিক টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে চিনা সংস্থার বিভিন্ন উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। অধিকাংশ দেশই তাদের ৫জি নেটওয়ার্কে বিশ্বাসী ভেন্ডর ছাড়া কাউকে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না।’
গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর ভারত সফরের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি বলেন, জিও-ই বিশ্বের একমাত্র নেটওয়ার্ক যার সঙ্গে কোনও চিনা সংস্থা বা প্রযুক্তি যুক্ত নয়। শোনা যাচ্ছে, সেই নীতি মেনেই ৫জি পরিষেবার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বদেশি পথেই চলেছে জিও। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় টেলিকমিউনিকেশন দফতরে এই পরিষেবার পরীক্ষামূলকল প্রয়োগের জন্যও আবেদন জানিয়েছে আম্বানির সংস্থা।
গত এপ্রিল মাসে জিও-তে ৫৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে মার্ক জুকেরবার্গের ফেসবুক।
গতকাল মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে পম্পিও জানিয়েছেন, কানাডা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সংস্থাগুলির পাশাপাশি ভারতের রিলায়েন্স জিও ‘চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পরিকাঠামো’ নির্ভর হুয়ায়েই-এর সঙ্গে সমস্ত সংযোগ ছিন্ন করেছে।