মেয়াদ ফুরোনোর আগে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মীদের পেনশন ছাঁটাই করার প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সরকারের সামরিক বিষয়ক মন্ত্রক। একই সঙ্গে আধিকারিকদের অবসরগ্রহণের বয়য়ীমা বৃদ্ধিরও প্রস্তাব পেশ হল।
সেনা কর্মীদের অবসর ও পেনশন সংক্রান্ত একগুচ্ছ নতুন প্রস্তাব সম্প্রতি পেশ করেছে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ-এর নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স (ডিএমএ)। নয়া প্রস্তাবে সেনাবাহিনী থেকে আধিকারিকদের অবসর নেওয়ার বয়স বাড়িয়ে এক থেকে তিন বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চাকরির এক্সটেনশন ১৭ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামরিক আধিকারিকদের আগাম অবসরের পরে পেনশনে কাটছাঁটের প্রস্তাব দিয়েছে ডিএমএ।
প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার ও মেজর জেনারেল পদাধিকারীদের কর্মজীবনের মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে। প্রস্তাহবে চাকরির মেয়াদ বাড়র কথা বলা হয়েছে জওয়ান ও জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারদের ক্ষেত্রেও। এর জেরে ৪০ থেকে ৫২ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার বদলে তাঁদের চাকরি জীবনের মেয়াদ বেড়ে ৫৭ করার প্রস্তাব পেশ হয়েছে।
আগাম অবসর গ্রহণকারীদের পেনশনে ২৫% থেকে ৫০% ছাঁটাইয়ের প্রস্তাবও দিয়েছে ডিএমএ। তবে এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বা কর্মীর চাকরির মেয়াদকাল। প্রস্তাব কেন্দ্র করে অবশ্য ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী এবার থেকে কর্নেল পদাধিকারী ৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মরত থাকবেন, ব্রিগেডিয়ার পদাধিকারী ৫৮ বছর বয়েস পর্যন্ত কর্মরত থাকবেন এবং মেজর জেনারেল পদাধিকারী ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন। তবে লেফটেন্যান্ট জেনারেলদের ক্ষেত্রে অবসর নেওয়ার বয়স আগের মতোই ৬০ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়েছে প্রস্তাবে।
২০-২৫ বছর কর্মরত থাকার পরে অবসর নিতে চাইলে আধিকারিকরা পেনশনের ৫০% পাবেন। ২৬-৩০ বছর বহাল থেকে অবসর নিলে পেনশন মিলবে ৬০%। আর ৩১ থেকে ৩৫ বছর চাকতরি করলে পেনশনের ৭৫% পাওয়া যাবে।
সেনাবাহিনীর অবসর নীতি সংস্কারের প্রস্তাবগুলি নৌ-সেনা ও বায়ুসেনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীর মেতক্যাল ও নার্সিং বিভাগকে।
প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সংশোধিত অবসর ও পেনশন নীতির খসড়া জমা দেবে ডিএমএ। তবে তার আগে খসড়া খতিয়ে্ দেখবেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত।