সুপ্রিম কোর্টে 'মিনি' জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে যে মামলা দায়ের করেছিল মমতা সরকার, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সেই আপত্তি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি ভূষণ আর গভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে মামলাটি বিচার করে দেখবে। আগামী ৩০ অগস্ট সেই দিনটা ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার যে মামলা করেছে, সেটা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মামলায় কী বলা হয়েছিল?
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করেছে এবং রাজ্যের বিষয়ে সিবিআই যেভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে রাজ্যের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিবিআই তদন্তের উপর থেকে ‘জেনারেল কনসেন্ট’ বা রাজ্যের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও ১২টি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। তার ফলে রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মমতা সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে সিবিআই যাতে আর নতুন করে কোনও মামলা দায়ের করতে না পারে, সেজন্য ২০২১ সালের অগস্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার।
'CBI-কে নিয়ন্ত্রণ করে না কেন্দ্র, রাজ্য বিভ্রান্ত করছে সুপ্রিম কোর্টকে'
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পালটা সওয়াল করেন যে স্বাধীনভাবে কাজ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সরকারের কথায় চলে না। সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করে না কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার যে অভিযোগ তুলেছে, সেটার কোনও ভিত্তি নেই। তাই রাজ্য সরকারের মামলা খারিজ করে দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য লুকানোর অভিযোগ তোলেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি দাবি করেন যে শীর্ষ আদালতকে বিভ্রান্ত করছে রাজ্য সরকার।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
সুপ্রিম কোর্টে সেই ‘মিনি জয়ের’ পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, 'রাজ্য সরকারের অধিকার বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। একটা স্পষ্ট বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যে নিজের খেয়াল খুশি মতো চলতে পারবে না সিবিআই। আর রাজ্যে ঢুকে নিজের ইচ্ছামতো তদন্ত চালাতে পারবে না। কারণ এখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিষয়টি জড়িত আছে। নন-বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রীকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিই- ২৪০ মোটেও নয়া ৪০০ নয়।'