বার বার সাত বার! এই নিয়ে সপ্তম বার বৈঠক হল প্রতিবাদী কৃষক সংগঠন ও সরকারের মধ্যে। কিন্তু এখনও দুটি মূল ইস্যুতে সমাধান অধরা থাকল। ফের আট জানুয়ারি বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন দফায় দফায় আলোচনা হয়। কিন্তু কৃষি আইন নিয়ে বিচার করার জন্য সরকার যে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সেটা খারিজ করে দিয়েছে চাষীরা। বৈঠকের শুরুতেই বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত কৃষকদের স্মৃতির উদ্দেশে মৌনতা পালন করে দুই পক্ষ। তবে আগের দিনের মতো এদিন মন্ত্রীরা গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে ভোজন করেননি।
বৈঠকে যদিও কোনও সমাধান বেরোয়নি। পরে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত জানান যে যতদিন আইন প্রত্যাহার না করা হবে, তারা বাড়ি ফিরবেন না। এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রী তোমার বলেন যে আইনের ধারা ধরে ধরে আলোচনা হোক। ঠিক কোন কোন বিষয় নিয়ে আপত্তি সেটা বলতে বলা হয় চাষীদের। কিন্তু কৃষক নেতারা অনড় অবস্থান রাখায় কথা সেভাবে এগোয়নি। কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন যে সরকার মারাত্মক চাপে আছে। তারা আইনগুলি ধাপে ধাপে আলোচনা করতে চাইছে। কিন্তু সেটা তারা মেনে নেবেন না বলে সাফ জানান তিনি।
গত বৈঠকে বিদ্যুতের ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়ার বিষয় ও খড় পোড়ালে শাস্তি নিয়ে চাষীদের যা দাবি ছিল, সেটা মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কৃষি আইন বাতিল ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি মান্যতা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েই আলোচনা আটকে আছে। এর মধ্যে কৃষি আইন যে সরকার কোনও অবস্থাতেই প্রত্যাহার করবে না এদিন ফের সেটা জানিয়ে দেন তিন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমার ও সোম প্রকাশ। ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে কৃষি আইনে সাত-আটটি বদল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কৃষকদের কাছে। কিন্তু পুরোপুরি তিনটি আইন বাতিল করার দাবিতে অনড় চাষীরা।