যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। তাঁর সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এই সফরকালে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন জয়শংকর। উল্লেখ্য, বিগত কিছু মাসে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ত ততটাও 'মধুর' ছিল না। গুরপতবন্ত সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় কানাডার পাশেই দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। আবার পান্নুন হত্যার ছকের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকা। এদিকে আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগ মামলা করেছে। বিভিন্ন রিপোর্টে ভারতের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই আবহে বিজেপির তরফ থেকে বাইডেন প্রশাসনকে তোপ দাগা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: '...অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ', ইউনুসের 'কিপটে' বাংলাদেশ আসবে না 'অখণ্ড ভারতে')
আরও পড়ুন: বাড়ছে চাহিদা, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে রাজ্যের পকেটে ঢুকেছে ৭৯% বেশি টাকা
এর আগে গত ডিসেম্বরে বিজেপির তরফ থেকে এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট নাকি ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। সেই সূত্রেই জর্জ সোরোস এবং কংগ্রেস যোগের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ করেছিল, গত ৪ বছরে কংগ্রেস যে সব ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে, সেই সব ইস্যুই আন্তর্জাতিক প্রচারের ওপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, পেগাসাস, আদানি থেকে শুরু করে জাতিগত জগণনা, হাঙ্গার ইন্ডেক্স, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা - এই সব ইস্যুই আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককলে মর্কিন মুলুকে আদানিদের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা, আমেরিকা ও কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থীদের তৎপরতা, ফৌজদারি মামলায় ডোভালকে আমেরিকার আদালতের সমনের মতো ইস্যু উঠে এসেছে। (আরও পড়ুন: ভ্যাটের চাপে চ্যাপ্টা বাংলাদেশ! কীসের দাম বাড়ল কত? ইউনুস সরকারের পকেটে ঢুকবে কত)
আরও পড়ুন: 'বাবা-মাকে এপারে আনতাম',জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ধৃত বাংলাদেশি হিন্দু
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে ১৪৫২ হামলার শিকার সংখ্যালঘুরা, এখনও মামলা হয়েছে ৫৩, ধরা পড়েছে…
এদিকে বিজেপির এহেন আক্রমণের পরও ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কে তিক্ততা বাড়েনি ততটাও। এদিকে ট্রাম্পের আগমনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ফের মধুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচনে জেতার পরে ভারতের ওপর করের বোঝা চাপানো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছিলেন, 'যদি মার্কিন সামগ্রীর ওপরে কোনও দেশ শুল্ক চাপায়, তাহলে আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের ওপর পালটা চড়া হারে কর বসাবে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই তারা আমাদের ওপর শুল্ক চাপাচ্ছে। তবে আমরা তাদের পণ্যে শুল্ক চাপাচ্ছি না।' তিনি নির্দিষ্ট করে ভারত এবং ব্রাজিলের উল্লেখ করেন এই সময়।