গালওয়ান সংঘর্ষের পর দু'দফায় অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কেন্দ্র। তখন থেকেই নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় পাবজির নাম থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। প্যাংগং সো লেকের কাছে নয়া উত্তেজনার মধ্যে সেই গেমিং অ্যাপের উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপাল কেন্দ্র। পাশাপাশি আরও ১১৭ টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।
বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ঝুঁকির মাত্রা’ বিবেচনা করে ১১৮ টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। যা ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, ভারতের প্রতিরক্ষা, দেশের সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক’।
গত ৬৬ দিনে কোন কোন চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে, দেখে নিন
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অ্যাপের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছিল। অ্যান্ড্রয়েড ও iOS-তে কয়েকটি অ্যাপের অপব্যবহারের খবরও আসছিল। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি থেকে শুরু করে গোপনে অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের ডেটা ভারতের বাইরের কোনও সার্ভারে পাঠানোর অভিযোগও উঠেছে। যা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেইসব বিষয়ে বিবেচনা করে অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপের ফলে কোটি কোটি ভারতীয় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ভারতের সাইবার জগতের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’
গালওয়ান সংঘর্ষের ঠিক ১৪ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত ২৯ জুন টিকটক-সহ ৫৯ টি অ্যাপ ব্যান করে প্রথম ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল ভারত। সেই কড়া পদক্ষেপের পর দ্বিতীয় দফায় ২৮ জুলাই আরও ৪৭ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র। সেবার মূলত আগের ৫৯ টি অ্যাপের ক্লোন ছিল। সেই তালিকায় ছিল - Tiktok Lite, BIGO LIVE Lite, VFY Lite, Helo Lite, SHAREit Lite-এর মতো অ্যাপ।