বাল্যবিবাহের পর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করায় বাংলাদেশের রাজশাহির মোহনপুরে স্বামীকে খুন করল এক কিশোরী নববধূ। বিয়ের ২৭ দিনের মাথায় যৌন নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীকে খুন করে সে। খুনের কথা স্বীকার করেছে ১৪ বছরের কিশোরী।
মোহনপুরের বিষহরা গ্রামের বাসিন্দা নিহত হারুন রশিদ (১৮)-এর সঙ্গে গত ১৪ মার্চ আগে বিয়ে হয়েছিল ১৪ বছরের ওই কিশোরীর। স্থানীয় মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সে। স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে সে জানিয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর যৌন চাহিদা মেটাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি করলেও শুনতেন না স্বামী। গত মঙ্গলবার রাতে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানালে তাকে মারধর করে হারুন। এর পরই রাগের বশে স্বামীকে খুন করে সে।
কিশোরী জানিয়েছে, প্রথমে স্বামীর ২ হাত বেঁধে ফেলে। তার পর দড়ি দিয়ে শ্বাস রোধ করে সে খুন করে স্বামীকে। সে জানিয়েছে, বিয়ে করার কোনও ইচ্ছা ছিল না তার। পরিবারের তরফে একপ্রকার জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মৃত যুবকের মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে শেহরি রান্নার পর ছেলেকে ডাকতে বললে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি বউমা। এর পর ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি গরমের মধ্যে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে সে। কম্বল সরাতে দেখি ছেলের নিথর দেহ। খুন করে প্রায় ২ ঘণ্টা ছেলের দেহের পাশেই ছিল বউমা।
স্থানীয় থানার ওসি তওহিদুর রহমান বলেন, ‘স্বামীর যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়েই মেয়েটি খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। তবে প্রায় দ্বিগুণ আকারের স্বামীকে সে কী করে কাবু করল তা এক আশ্চর্যের ব্যাপার।’