কেরলের ইদুক্কি জেলার একটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত মঙ্গলবার ৬৬ বছর বয়সি এক বৃদ্ধকে ৮১ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল। দুই বছর আগে ১৫ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ধর্ষণের জন্য সেই বৃদ্ধকে ৮১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পকসো আইনে দায়ের এই মামলার রায়দানের সময় বিচারপতি টিজি ভার্গিস পর্যবেক্ষণ করেন যে দোষী বৃদ্ধ হলেও কোনও নমনীয়তার দেখানো উচিত নয় তাকে।
নাবালিকার প্রতি যৌন নিপীড়ন এবং বারবার ধর্ষণের অপরাধের জন্য দোষীকে পৃথক ভাবে ২০ বছরের সাজা শোনান বিচারক। নির্যাতিতাকে গর্ভবতী করার জন্য আরও ৩০ বছর এবং যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের সুরক্ষার (POCSO) অধীনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাছাড়া অপহরণের দায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে বৃদ্ধকে। পাশাপাশি দোষীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এসএস সনিশ জানান, যেহেতু দোষীকে একইসঙ্গে এই সাজা ভোগ করতে হবে, তাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করার দায়ে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের জেল হবে বৃদ্ধের। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এটি সাম্প্রতিক অতীতে পকসো মামলায় দীর্ঘতম সাজা।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ঘটনাটি সামনে আসে। নির্যাতিতার পেয়ে ব্যথা হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানা যায় সেই নাবালিকা গর্ভবতী। পরে উচ্চ আদালতের অনুমতিতে গর্ভপাত করানো হয় সেই নাবালিকার। পাশাপাশি অভিযুক্তের সঙ্গে ভ্রুণের নমুনার ডিএনএ মিলিয়ে দেখে পরীক্ষা হয়। তাতে অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হয়।