সংখ্যালঘুদের জন্য উন্নয়মূলক প্রকল্প ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দুদের অধিকার খর্ব করে না। মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে একথা জানাল কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রের দাবি, সংখ্যালঘুদের জন্যে চালু করা প্রকল্প দেশের সমতার নীতিকে খর্ব করে না। উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছয় ব্যক্তি এর আগে সুপ্রিমকোর্টে এই বিষয়ে একটি মামলা করে অভিযোগ করেন যে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্যে কোনও প্রকল্প চালু হলে তা দেশের সমান অধিকারের নীতি পরিপন্থী। এই পিটিশনের জবাবেই কেন্দ্রের কাছে জবাব জানতে চায় শীর্ষ আদালত। এর জবাবে কেন্দ্র একটি হলফনামা জমা করে সুপ্রিমকোর্টে।
কেন্দ্র এদিন শীর্ষ আদালতকে জানায় সংখ্যালঘুদের জন্যে চালু করা প্রকল্প সার্বিক বৃদ্ধির স্বার্থে এবং এতে আইন ভঙ্গ হয় না। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক শীর্ষ আদালতকে বলেছে, 'এই প্রকল্পগুলি চালু করা হয় যাতে বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়। শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্প শুরু করে সরকার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে কোনও সমস্যা ছাড়া নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পায়, তার জন্যেই এই প্রকল্প।'
পাশাপাশি কেন্দ্র আরও বলে, 'সংবিধানে উল্লেখিত সমান অধিকারের নীতিকে কোনও ভাবেই খর্ব করে না সংখ্যালঘুদের প্রকল্প। অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অধিকারকেও এর দ্বারা খর্ব করা হয় না। সমাজে সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্তিকে মসৃণ করার জন্যেই এই প্রকল্পগুলি রয়েছে তাই এগুলি সম্পূর্ণ ভাবে আইন মেনেই লাগু করা হয়।'
বর্তমানে কেন্দ্র ১৩টি প্রকল্পে টাকা দেয় যেগুলি শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্যে নির্ধারিত। কেন্দ্রের বক্তব্য, পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নের স্বার্থে চালু করা হয়েছে এই প্রকল্প। যদিও মামলাকারীদের দাবি, এই প্রকল্পগুলির জেরে সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২৭ নম্বর ধারা খর্ব হয়। মামলাকারীরা জাতীয় সংঘ্যালঘু কমিশন আইন, ১৯৯২-কেও বাতিল করার আর্জি জানিয়েছেন।