বর্ষবরণের রাতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের রাস্তায় এক হাড়হিম করা অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল যার ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। উক্ত ঘটনায় ২২ বছর বয়সি এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে ছুরি মেরে খুন করে একদল নাবালক। ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ৩১ ডিসেম্বর রাতে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজন নাবালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপরই রাগের মাথায় সেই যুবককে খুন করে ছয় নাবালক।
স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ছয় নাবালক মিলে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের পথ আটকায়। ২২ বছরের যুবকটি স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন। আয়ুষ নিজে বাইক চালাচ্ছিল না। তিনজন বন্ধু মিলে বাইকে যাচ্ছিল আয়ুষরা। আয়ুষ পিছনে বসেছিলেন। সেই সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হতে থাকে। তখন নাবালকরা সেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে জাপটে ধরে। নাবালকদের ছুরি দিয়ে যুবকের গলায় আঘাত করতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, গভীর রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকা নাবালকদের উদ্দেশে হর্ন বাজায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। এই নিয়েই দুই পক্ষের ঝামেলা শুরু হয়। এবং এই তুচ্ছ কারণেই নিজের প্রাণ খোয়াতে হয় সেই যুবককে।
মৃত যুবকের নাম আয়ুষ গুপ্তা বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরপরই সেখান থেকে আয়ুষকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই গোটা ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। মৃত আয়ুষ ইন্দোরের শিবপুরীর বাসিন্দা। শহরেরই একটি কলেজ থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় নাবালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছ।
এদিকে বর্ষবরণের রাতেই ইন্দোরে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আত্মহত্যা করলেন সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে। মৃত ইঞ্জিনিয়ারের নাম প্রথম চোকসি। তিনি হায়দরাবাদের একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। নতুন বছর উদযাপনের জন্য বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। টুকোগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের ইনস্পেক্টর কমলেশ শর্মা বলেছেন, তরুণীর ল্যাপটপ থেকে একটি দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লিখেছেন, খুব বেদনাদায়ক রোগে ভুগছেন তিনি। এর বিষয়ে তিনি নিজের মা-বাবাকেও জানাতে পারছিলেন না। উল্লেখ্য, মৃত তরুণীর মা একজন চিকিৎসক। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।