প্রথম ডোজ হিসেবে কোভ্যাক্সিন। আর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ড। বা উল্টোটা। এমনটা করলেই চার গুণ বেশি সুরক্ষা মিলবে। একটি সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রতি এআইজি হাসপাতালগুলির একটি সমীক্ষা হয়। তারপরে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানালেন এশিয়ান হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশনের গবেষকরা। সোমবার এআইজির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার পাশাপাশি কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন মিশ্র ডোজের সুরক্ষা প্রোফাইল নির্ধারণের জন্য গবেষণাটি করা হয়েছিল। এআইজি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডি নাগেশ্বর রেড্ডি বলেন, গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল, মিশ্র ভ্যাকসিন গ্রুপে পাওয়া স্পাইক-প্রোটিন নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি। এটি একই টিকা গ্রুপের দুটি ডোজের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
গবেষণা দলের সদস্য ড. রেড্ডি বলেন, স্পাইক-প্রোটিন নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডিই ভাইরাসকে মেরে ফেলে। ফলে সামগ্রিক সংক্রমণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। তিনি জানান, প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ ভিন্ন ভ্যাকসিনের হলে স্পাইক-প্রোটিন অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া অনেকটাই বেশি হয়। একই ভ্যাকসিনের দুই ডোজের তুলনায় তা প্রায় চারগুণ বেশি।
তিনি বলেন, শক্তিশালী অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া তৈরির লক্ষ্যে তৃতীয় বুস্টার ডোজ পরিচালনার বিষয়ে বিবেচনা করার হচ্ছে। এই প্রাক্কালে তাঁদের গবেষণার ফলাফলগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মিশ্র ডোজ এই স্পাইক-প্রোটিন নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডিগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারবে। এমনকী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়াবে, দাবি করেছেন ড. রেড্ডি। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন) মিশ্রিত করলে তা উচ্চতর অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। এটি নিরাপদও বটে।
মিশ্র ডোজের টিকা কী?
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে আলাদা আলাদা টিকা নিলে সেটা মিশ্র ডোজের টিকা ধরা হয়। সঙ্গে এ বিষয়ে সেদেশের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। এর আগে স্পেন আর জার্মানিতে যাঁরা প্রথম ডোজ হিসাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছেন, তাঁরা (বিশেষ করে তরুণরা) কেউ কেউ পরামর্শমাফিক দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে ফাইজার বা মর্ডানার টিকা গ্রহণ করেছেন।