বড়ই কষ্টে রয়েছেন শচীন পাইলট অনুগামী বিধায়করা। ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁদের বন্দি করা হয়েছে। কান্নাকাটি করে তাঁদেরই কেউ কেউ এই অভিযোগ করছেন বলে দাবি করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অনেকে পাইলট সমর্থকই গেহলট শিবিরে নাম লেখাতে চাইছেন বলে তিনি দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে গেহলট দাবি করেন, ‘গত সাত বছরে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যিনি বলেছিলেন, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির অধ্যক্ষ পদ থেকে পাইলট সাহেবকে সরানো উচিত। আমি জানতাম ও অপদার্থ, নিষ্কর্মা। কোনও কাজই করে না। শুধু সবার মধ্যে মারামারি বাধাচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, শিশুসুলভ মুখ এবং হিন্দি ও ইংরেজিতে সমান বুৎপত্তির দৌলতে সংবাদমাধ্যমের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন পাইলট। কিন্তু রাজস্থানবাসী তাঁর আসল অবদান জানেন। তবে দলের স্বার্থে তাঁকে কখনও প্রশ্ন করা হয়নি, জানিয়েছেন গেহলট।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘গত ছয় মাস ধরে বিজেপি-র সমর্থনে ও ষড়যন্ত্র করছিল। আগে যখন বলেছি, সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে, তখন কেউ আমায় বিশ্বাস করেননি। আসলে, এমন শিশুসুলভ মুখের কেউ এমন কাণ্ড ঘটাবেন, তা কেউ ভাবতেই পারেননি।’
এই প্রসঙ্গেই গেহলট দাবি করেন যে, শচীন পাইলটের সমর্থক বিধায়করা মোটেই ভালো নেই। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁদের কার্যত বন্দি করা হয়েছে। তাঁর মতে, পাইলট শিবির থেকে অনেকেই ফোনে কান্নাকাটি করছেন, কেউ কেউ তাঁর শিবিরেই যোগ দিতে চাইছেন।
গত ১৪ জুলাই রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শচীন পাইলটকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সংবিধানের দশম তফশিল অনুযায়ী নোটিশ পাঠিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তবে সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজস্থান হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন শচীন ও তাঁর অনুগামীরা। সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।