'আজ উত্তরপ্রদেশে স্থানীয় প্রাধিকারী বিধানপরিষদের ভোটে বিজেপির প্রচণ্ডভাবে জয় ফের একবার স্পষ্ট করে দিল যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পথপ্রদর্শন ও নেতৃত্বে রাজ্যের জনতা রাষ্ট্রবাদ, বিকাশ এবং সুশাসনের সঙ্গে রয়েছে।' এমএলসি ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দাপুটে জয়ের পর ঠিক এই টুইট করেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য, বিধান পরিষদের ভোটে উত্তরপ্রদেশের ৩৬ আসনের ৩৩ টিই বিজেপির দখলে। তবে মোদীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীকে পদ্মশিবির বড় ধাক্কা খায়।
মোদীর কেন্দ্রে কে জয়ী?
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের ভোটে যে ৩৬ আসনে র মধ্যে ৩৩ টিতে গেরুয়া শিবির দাপট ধরে রেখেছে। এরমধ্যে ২৪ টিচে পদ্ম শিবির জয়ী হয়েছে, আর ৯ টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তারা। ৩ টি আসনে নির্দল জিতেছে। নির্দলের দখলে থাকা কেন্দ্রগুলি হল, আজমগড়, বারাণসী, প্রতাপগড়। উল্লেখ্য, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীতে বিজেপি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে! গোটা উত্তরপ্রদেশে এই নির্বাচনে দাপুটে ব্যাটিং ধরে রেখেও মোদীর কেন্দ্রে কার্যত ব্যর্থতার শিকার হয় বিজেপি। বারাণসীতে জেলবন্দি মাফিয়া ডন ব্রিজেশ সিংয়ের স্ত্রী অন্নপূর্ণা সিং বিজয়ী হন। অন্নপূর্ণা সিং পেয়েছেন ৪২৩৪ টি ভোট, বিজেপির সুদামা প্যাটেল পেয়েছেন ১৭০ টি ভোট। এর আগে বিজেপির সুদামা প্যটেল অভিযোগ করেন যে, তাঁর দলের নেতারা অনেকেই ডন ব্রজেশ সিংয়ের স্ত্রীয়ের সমর্থনে রয়েছেন।
সমাজবাদী পার্টির কী পরিস্থিতি?
এদিকে, বিধান পরিষদের ভোটে দাঁত ফোটাতে পারেনি সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশের দল থেকে একজনও উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার উচ্চকক্ষে আসীন হওয়ার জন্য জনসমর্থন পেলেন না। যা নিঃসন্দেহে গোবলয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ। মূলত, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মূল বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি অন্যতম বড় শক্তি।
কাফিল খান কত ভোটে হারলেন?
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে চিকিৎসক কাফিল খানের নাম বারবার উঠে এসেছে। সেই কাফিল খান দেওরিয়া কুশিনগর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। তিনি ১০৩১ টি ভোট পান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির ডক্টর রতনপাল সিং ৪,২৫৫ টি ভোট পান।