পূর্ব লাদাখে বেশ কিছু সংবেদনশীল স্থানে চিন ঘাঁটি গেড়েছে। এই কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বক্তব্যে স্বীকার করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই নথি সরিয়ে দেওয়া হল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। ঠিক কি হল, সেই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার ও শাসক বিজেপির নেতারা।
চার জুলাই এই সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। সেখানে বলা হয় লাদাখের পরিস্থিতি খুব সংবেদনশীল, ক্রমশ বাড়ছে চিনের রক্তচক্ষু, অনেক দিন ধরে চলতে পারে ওখানে অচলাবস্থা। জুন মাসে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক পর্যালোচনার এই রিপোর্টের কথা সংবাদমাধ্যমে আসার পরেই সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনেন তিনি। নথি অনুযায়ী মে মাসের ১৭-১৮ তারিখ গোগরা ও প্যাংগং সো-তে অনুপ্রবেশ করে চিন।
প্রাক্তন সেনা কর্তা ডিএস হুডা বলেন যে এই সময় কমুনিকেশন খুব স্পষ্ট রাখতে হবে। সেখানে কোনও দ্বিধার জায়গা নেই। তাহলে সবার মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে, বলে জানান হুডা।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে চিন কোনও ভাবেই এপ্রিলের পরিস্থিতিতে সীমান্তকে ফেরাতে রাজি হচ্ছে না। তারা প্যাংগং, ডেপাসং ও গোগরা থেকে সরতে রাজি হচ্ছে না। সেই সময়েই রহস্যজনক ভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এল এই রিপোর্ট। আবার উধাও হয়ে গেল। রেখে গেল একরাশ প্রশ্ন।