কর্ণাটকে ঝোড়ো প্রচারে কোনও কসরত বাদ রাখেনি বিজেপি। তবে বোম্মাই সরকারের অধীনে থাকা কর্ণাটকে বিজেপিকে কার্যত দুরমুশ করে জয় পকেটে পুরেছে কংগ্রেস। এরপর বিজেপির লক্ষ্য কংগ্রেসের গেহলোট সরকারের অধীনে থাকা রাজস্থান! এদিন রাজস্থানের আজমেঢ়ে বিজেপির প্রচারে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী। আসন্ন ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে রাজস্থানের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
রাজস্থানে ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকে সোচ্চার কণ্ঠে মোদী দাবি করেন যে, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের অধীনে দুর্নীতি মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়ছে। ভোটমুখী রাজস্থানে মোদী বলেন,'আমাদের দেশে কোনও দিনও উন্নয়নের জন্য টাকা কম পড়েনি। কংগ্রেস হল এমন একটি পার্টি যারা প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৮৫ শতাংশ করে কমিশন নেয়। আমরা উন্নয়ন করতে পেরেছি, কারণ, যে ফাঁক ফোঁকড় কংগ্রেস করেছিল, সেই লিককে আমরা সারাই করেছি।' উল্লেখ্য, সদ্য ১০ মে কর্ণাটকে ভোটে কংগ্রেসের কাছে বিপুল পরাজয়ের মুখে পড়ে বিজেপি। এদিকে, কংগ্রেসের আদে রাজস্থানে ছিল বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকার। সেই সময়ও দুর্নীতি ইস্যুতে উঠেছিল সমালোচনার আঁধি।
( ‘কোনও বিচারককে নিচু করার ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’, বার্তা সুপ্রিম কোর্টের)
মরুরাজ্য রাজস্থানে এদিন প্রচারে ঝড় তুলে মোদী বলেন, ‘ লুঠের বিষয় হলে কংগ্রেস কারোর মধ্যে ফারাক করে না। এরা দরিদ্র, উপজাতি, মহিলা, সংখ্যালধু, দিব্যাঙ্গনদেরও লুঠ করতে ছাড়ে না।’ উল্লেখ্য, রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব বহু সময় ধরেই প্রকট হচ্ছে। সেখানে বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের তরুন তুর্কী সচিন পাইলট। গেহলোট-পাইলট সংঘাত নিয়ে এদিন মুখ খোলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘ বহু বছর বাদে ২০১৪ সালে একটি স্থায়ী সরকার এনেছিলেন আপনারা। বিজেপি আপনাদের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তবে আপনারা ৫ বছর আগে আপনারা রাজস্থানে জনমত দিয়েছেন। রাজস্থান আপনাজের কী দিয়েছে? অস্থিতিশীলতা আর একনায়কতন্ত্র? গত ৫ বছর ধরে মন্ত্রী, বিধায়ক, আর মুখ্যমন্ত্রী সংঘাতেই ব্যস্ত একে অপরের সঙ্গে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup